গণহত্যাকে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তব্য’ বলা ভয়ঙ্কর রাজনীতি: আসম রব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:১০, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:০১, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘গণহত্যার সাফাই হচ্ছে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির ভয়াল রূপ।’ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আ স ম রব বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বৈদেশিক গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ‘সহিংস বিদ্রোহ’ আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রের নাগরিক হত্যাকে রাষ্ট্রের কর্তব্য হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, যা এক জঘন্য রাজনৈতিক অবস্থান।
তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও নিরস্ত্র আন্দোলন—জনগণের সার্বভৌম অধিকার ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী এই আন্দোলনের শহীদদের জীবন উৎসর্গকে সহিংসতার অংশগ্রহণ হিসেবে অবমাননা করেছেন এবং গণহত্যাকে কর্তব্য বলে বৈধতা দিতে চেয়েছেন।’
জেএসডি সভাপতি আরও বলেন, ন্যায়সঙ্গত ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিরস্ত্র জনগণের ওপর রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র শক্তির নির্বিচার প্রয়োগ এবং সেই হত্যাকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তব্য’ বলে আখ্যায়িত করা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ভিত্তিমূল কাঁপিয়ে দেয়।
তিনি মন্তব্য করেন, ‘এই বক্তব্য বিচারাধীন মামলাকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান কার্যক্রমের প্রতি সরাসরি হস্তক্ষেপ।’
আ স ম রব বলেন, এই ধরনের বক্তব্য শুধু নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচারের ধারণাকে পদদলিত করে না, বরং বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রাতিষ্ঠানিক করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার এই ‘বিপজ্জনক বক্তব্য’ অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের জীবনকে রাষ্ট্র যদি কেবল শৃঙ্খলা রক্ষার উপকরণ হিসেবে দেখে, তবে সেটাই গণহত্যার সাফাই এবং গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা।’
