ফরিদপুরে শ্যালিকাকে গণধর্ষণ ও হত্যা
দুলাভাইসহ ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:১৭, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
ফরিদপুরে শ্যালিকাকে (২৫) গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দুলাভাইসহ চারজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা দায়রা জজ শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, হত্যার অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই সাজা একসঙ্গে ভোগ করলেও জরিমানার অর্থ আলাদাভাবে পরিশোধ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—জাহাঙ্গীর বেপারী (৩৮) – ভুক্তভোগীর দুলাভাই ও প্রধান আসামি, কামরুল মৃধা (৩৮), আলী বেপারী (৪৩) ও বক্কার বেপারী (৩৮)।
এছাড়া আলী বেপারীর পিতা আবুল কালাম বেপারী (৬৮) এবং নারী আসামি মমতাজ বেগম (৬৩)-কে আলামত নষ্টের দায়ে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় জাহাঙ্গীর বেপারী ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ অক্টোবর রাতে জাহাঙ্গীর বেপারী তার সহযোগীদের নিয়ে শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে বলে, ‘তোমার বোন এসেছে, দরজা খোল।’ দরজা খোলার পরই তারা তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করে।
ভুক্তভোগীর মা পরে ২৩ অক্টোবর ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২ নম্বর আমলি আদালতে জাহাঙ্গীরসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ফরিদপুর ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল কালাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া বলেন,`২০১২ সালে থানা মামলা না নিলেও আদালতের মাধ্যমে মামলাটি চলমান থাকে। তদন্তে সাতজন কর্মকর্তা কাজ করেন। অবশেষে আজ ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে— রাষ্ট্রপক্ষ এতে সন্তুষ্ট।‘
