‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মুখে প্রবীণ কংগ্রেস কর্মী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:২৭, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
আসামের প্রবীণ কংগ্রেস কর্মী বিধু ভূষণ দাস (৭৪) এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। এক সভায় ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ উচ্চারণ করায় বিজেপি সরকার তাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীভূমি জেলার একটি কংগ্রেস সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখ করে বিধু ভূষণ গানটির প্রথম লাইন গেয়েছিলেন। ওই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিজেপির রাজ্য শাখা অভিযোগ তোলে— তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়েছেন।
এই অভিযোগে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পুলিশকে স্থানীয় কংগ্রেস কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ভারতের জাতীয় সংগীতের বদলে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়েছে— এটা ভারতের প্রতি অপমান।’
তবে বিধু ভূষণ দাস অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘আমি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লাইনটি উচ্চারণ করি, পুরো গান নয়। সভা শুরু হয়েছিল ‘বন্দে মাতরম’ দিয়ে, শেষও হয়েছে ভারতের জাতীয় সংগীত দিয়ে।’
তিনি আরও জানান, তিনি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কংগ্রেস সেবা দলে যুক্ত আছেন এবং কখনও দেশের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। ‘আমি শুধু বাংলা ভাষা ও রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়েছি,’ বলেন তিনি।
ঐতিহাসিকভাবে, আসামের শ্রীভূমি (আগে করিমগঞ্জ নামে পরিচিত) ছিল বাংলাদেশের সিলেটের অংশ। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় সিলেটের বেশিরভাগ অংশ পূর্ব পাকিস্তানে গেলেও করিমগঞ্জ ভারতের সঙ্গে থেকে যায়। সেই সাংস্কৃতিক যোগসূত্র এখনও টিকে আছে, যা অনেক সময় রাজনৈতিক বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
