সুদানের হাসপাতালে আরএসএফের আক্রমণ, রোগীসহ শতাধিক স্বজন নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৫৮, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:০০, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
সুদানের দারফুরের রাজধানী আল-ফাশির দখলের পর একটি হাসপাতালে শতাধিক রোগী ও তাদের স্বজনকে হত্যা করেছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।
জাতিসংঘ ও মানবিক সহায়তাকর্মীরা জানিয়েছেন, আরএসএফের হামলায় কেবল হাসপাতালে নয়, শহরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষও নিহত হয়েছে। হাসপাতাল, রাস্তা ও বাড়িঘরজুড়ে ছড়িয়ে আছে নিহত মানুষের লাশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রস আধানম ঘেব্রেইয়েসুস দাবি জানিয়েছেন, আল-ফাশিরের সৌদি হাসপাতালের ৪৬০ রোগী ও তাদের সঙ্গে থাকা স্বজনকে মঙ্গলবার হত্যা করেছে আরএসএফের যোদ্ধারা।
গত দুই বছর ধরে সুদানের সেনাবাহিনী ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের মধ্যে দফায় দফায় লড়াই চলছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। দেশটির ভেতর ও বাইরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
আল-ফাশির ছিল দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি। ৫০০ দিনেরও বেশি অবরোধের পর শহরটি দখল করে নেয় আরএসএফ। এর মধ্য দিয়ে সুদানের আরব নেতৃত্বাধীন এই শক্তিশালী বাহিনী পুরো দারফুরের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, আল-ফাশিরের পতন আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশটিকে আবারও ভাঙনের মুখে ঠেলে দিতে পারে। কারণ প্রায় ১৫ বছর আগে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা লাভ করেছিল।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই হত্যাকাণ্ডের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। তারা অবিলম্বে আল-ফাশির ও দারফুরে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর দাবি জানিয়েছে।
সূত্র: এপি
