১৪ মাসেও সরকার নিজের ফিটনেস তৈরি করতে পারেনি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:১৭, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বর্তমান সরকারের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তার দাবি, ১৪ মাস পার হয়ে গেলেও সরকার নিজের “ফিটনেস” তৈরি করতে পারেনি। হাতে সময় আছে মাত্র চার মাস, এই সময়ে দুটি নির্বাচন আয়োজন করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে রাশেদ খান লিখেছেন, “জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে একই দিনে ভোট—হ্যাঁ। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট—না।”
তিনি মনে করেন, সরকারের বর্তমান অবস্থান বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের এক ধরনের কৌশল হিসেবেই “নভেম্বর গণভোট” সামনে আনা হয়েছে।
রাশেদ খান বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনা উপস্থাপনের সময় বিশেষজ্ঞরা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তখন জামায়াত ছাড়া প্রায় সব দলই তাতে একমত ছিল। কিন্তু এনসিপি পরদিনই তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে।
তার অভিযোগ, এনসিপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে, যা আড়াল করতেই এনসিপি মাঝে মাঝে জামায়াতবিরোধী অবস্থান নেয়। “জামায়াত যা সরাসরি করতে পারে না, সেটি এনসিপিকে দিয়েই করায়। এনসিপির ভেতরে জামায়াত-শিবিরের প্রভাবশালী নিয়োগ রয়েছে,” বলেন রাশেদ।
সরকারের প্রস্তুতিহীনতা ও নীতিগত ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করে রাশেদ খান বলেন, “১৪ মাসেও সরকার নিজের ফিটনেস তৈরি করতে পারেনি। নভেম্বর গণভোটের প্রসঙ্গ এনে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এতে কেবল আওয়ামী লীগই উপকৃত হবে।”
তিনি দাবি করেন, ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে যে সুপারিশ দিয়েছে, তাতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দেওয়া হয়েছে—যা আসলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি অসম্মান। “তাহলে ৯ মাস রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে লাভ কী হলো? আগে থেকেই ৮৪টি বিষয়ে গণভোট নেওয়া যেত,” বলেন তিনি।
রাশেদ খান সতর্ক করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জামায়াত ও এনসিপি বাদে বাকি সব দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তার ভাষায়, “দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আরেকটি ১/১১ অনিবার্য করে তোলার পথ তৈরি হচ্ছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সম্প্রতি লিখেছিলেন—‘নতুন করে আরেকটি মওদুদীবাদি প্রক্সি দলের দরকার নেই।’ রাশেদ খানের মতে, এনসিপি অনিচ্ছাকৃতভাবেই সেই পথে হাঁটছে, ফলে নিজেদের স্বতন্ত্র রাজনীতি গড়ে তুলতে পারছে না।
