নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক দলের জন্য ৭ নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৪৭, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৩৯, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনি প্রচারণাকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও আইনসম্মত রাখতে নতুন করে সাতটি নির্দেশনা সংযোজন করা হয়েছে আচরণবিধিতে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) কমিশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, প্রচারণার আগাম পরিকল্পনা ও স্থান নির্ধারণের মাধ্যমে প্রার্থীদের মধ্যে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বজায় রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করাই এসব নির্দেশনার মূল উদ্দেশ্য।
নতুন ৭ নির্দেশনা
১. সমান অধিকার: নির্বাচনী সময়ে সকল প্রার্থী সমান প্রচারণার অধিকার ভোগ করবেন। কেউ কারও ওপর ভয়ভীতি বা বাধা প্রয়োগ করতে পারবেন না।
২. প্রচার পরিকল্পনা জমা: প্রচারণা শুরু করার আগে রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রচারণার বিস্তারিত পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।
৩. লিখিত অনুমতি: জনসভা বা সমাবেশ আয়োজনের আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিতে হবে এবং তা স্থানীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।
৪. পুলিশকে অবহিতকরণ: জনসভা বা পথসভা আয়োজনের অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থান ও সময় সম্পর্কে পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে হবে, যাতে তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
৫. চলাচলে বিঘ্ন নয়: কোনো জনসভা বা প্রচারণা এমন স্থানে করা যাবে না যেখানে জনগণের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে—যেমন প্রধান সড়ক বা মহাসড়ক।
৬. গোলযোগ প্রতিরোধ: প্রচারণা বা জনসভায় গোলযোগ দেখা দিলে আয়োজকদের তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানাতে হবে, যাতে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে।
৭. বিদেশে প্রচারণা নিষিদ্ধ: কোনো রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী বিদেশে জনসভা বা প্রচারণা চালাতে পারবে না।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন শেষ হলে শতভাগ প্রস্তুতি শেষ হবে। যদিও রোডম্যাপের তুলনায় সামান্য পিছিয়ে আছি, তবে উদ্বেগের কিছু নেই।”
তিনি আরও জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাকি সব প্রস্তুতি শেষ করা সম্ভব হবে।
