১ নভেম্বর থেকে মাঠ প্রশাসন পুনর্গঠনের কাজ শুরু
নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৩০, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনিক পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ক এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মাঠ প্রশাসন পুনর্গঠনে কঠোর নির্দেশনা
প্রেস সচিব জানান, মাঠ প্রশাসনে এমন কোনও কর্মকর্তা যেন পদায়ন না পান, যারা গত তিনটি নির্বাচনে সম্পৃক্ত ছিলেন—এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার—যেই হোন না কেন, অতীত নির্বাচনী ভূমিকা থাকলে তাঁরা নতুন দায়িত্বে থাকবেন না।
তিনি বলেন, `পদায়নের ক্ষেত্রে কর্মকর্তার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড, কর্মদক্ষতা, আগের পোস্টিং, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সংবাদ প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। যিনি সবচেয়ে ‘ফিট’ বলে বিবেচিত হবেন, তাঁকেই দেওয়া হবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর দায়িত্ব।‘
স্বজনপ্রীতি এড়াতে অতিরিক্ত নজরদারি
প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন—নিজ জেলার কেউ সেখানে দায়িত্ব পাবেন না। বিশেষ করে, আত্মীয়স্বজন বা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় পদায়ন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি, যার নিকটাত্মীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাঁকেও সেই এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
তালিকা প্রস্তুত ও নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ৬৪ জেলার জন্য প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিচ্ছেন যাতে পদায়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় থাকে।
বৈঠকে সামাজিক মাধ্যমে ফেক নিউজ ও অপতথ্য ছড়ানো রোধে দুটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—একটি সেন্ট্রাল সমন্বয় কমিটি, যা উপজেলা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।আরেকটি অপতথ্য প্রতিরোধ কমিটি, যা নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে গঠিত হবে।
প্রেস সচিব বলেন, `ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে আমাদের উদ্বেগগুলো জানানো হবে।‘
এ ছাড়া, দ্রুত ফ্যাক্ট চেকিং প্রক্রিয়া চালু করতে এবং মিথ্যা প্রচারণা ঠেকাতে আইসিটি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন— `আমাদের সেরাটা আশা করতে হবে, কিন্তু সবচেয়ে খারাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।‘
যেকোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার ওপর তিনি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
