নির্বাচনকালীন পদায়ন নভেম্বরেই
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ভোটের তারিখ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:০৪, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:০৭, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নভেম্বরের শুরু থেকেই শুরু হচ্ছে নির্বাচনকালীন পদায়ন কার্যক্রম। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে ভোটের তারিখ— এমনই তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,“আমরা বারবার একটাই কথা বলছি— ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এই ঘোষণা আসবে।”
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে নির্বাচন প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সকল কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের জন্য বিশেষ অ্যাপ চালু করা হবে। ভোটের আগের এবং পরের ৭২ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, “নির্বাচনী কর্মকর্তা পদায়নের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে দুটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ফেসবুকসহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।”
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের বিষয়ে তিনি জানান,“সেনাবাহিনী জানিয়েছে— প্রায় সাড়ে ৯২ হাজার সদস্য মাঠে থাকবে, এর মধ্যে ৯০ হাজার সেনা ও বাকিরা নৌবাহিনীর সদস্য। পাশাপাশি আনসার সদস্যরাই সর্বাধিক দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশের কাছেও থাকবে বডি ক্যামেরা।”
প্রেস সচিব বলেন, “গত তিন নির্বাচনে যারা দায়িত্বে ছিলেন, এবার তাদের নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হবে না। নির্বাচন বানচালের যেকোনো চেষ্টা রুখে দিতে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “একবিংশ শতকে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় খুনি আর কেউ নেই— এমন মন্তব্য জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও এসেছে। কেউ কোনো অপকর্ম করে পার পাবে না, ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
