‘অবৈধ’ মোবাইল ফোন বন্ধে ১৬ ডিসেম্বর চালু হবে এনইআইআর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:২৩, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:১১, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
দেশে অবৈধ ও নকল মোবাইল ফোনের ব্যবহার রোধে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর)। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, ‘এনইআইআর একটি আধুনিক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যা প্রতিটি মোবাইল ফোনের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইএমইআই নম্বরকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এবং ব্যবহৃত সিম নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করবে। এর ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই শনাক্ত করা যাবে।’
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয় অবৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের কারণে। এনইআইআর চালু হলে এ ক্ষতি রোধ সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফয়েজ আহমদ।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডিজিটাল জালিয়াতির ৭৩ শতাংশ ঘটেছে অবৈধ বা অনিবন্ধিত ডিভাইস থেকে। এনইআইআর কার্যকর হলে এসব ডিভাইস নেটওয়ার্কে কাজ করতে পারবে না।
বিটিআরসি ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে ই-কেওয়াইসি জালিয়াতির ৮৫ শতাংশ ঘটেছিল অনিবন্ধিত বা পুনঃপ্রোগ্রাম করা হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানান, এনইআইআর চালু হলে নেটওয়ার্কে যুক্ত প্রতিটি মোবাইল ও সিমের তথ্য ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। ফলে চুরি বা অপরাধে ব্যবহৃত ডিভাইস স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লক করা যাবে।
বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এনইআইআর শুধু একটি প্রযুক্তিগত প্রকল্প নয়, এটি নাগরিক নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও টেলিযোগাযোগ খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের এক জাতীয় অঙ্গীকার।’
এই ব্যবস্থা চালু হলে সরকার বিপুল রাজস্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, দেশের মোবাইল অপারেটর এবং মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
