দুদক সংশোধনীতে ঐকমত্য উপেক্ষা, সরকার স্ববিরোধী অবস্থানে: টিআইবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:০২, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:২৩, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংশোধনীর খসড়ায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, সরকার নিজেই যে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, এখন সেটিকেই উপেক্ষা করছে—এটি এক হতাশাজনক ও স্ববিরোধী দৃষ্টান্ত।
বুধবার এক বিবৃতিতে টিআইবি জানায়, কমিশনারদের চাকরির মেয়াদ ২০ বছর রাখার প্রস্তাব কমিশনে গৃহীত হয়েছিল, অথচ খসড়া অধ্যাদেশে সেটি ২৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া কমিশনারের সংখ্যা তিনজন থেকে পাঁচজনে বাড়ানোর প্রস্তাবও উপেক্ষিত হয়েছে, যা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাদ দেওয়া এসব সুপারিশ প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন পেয়েছিল। সরকার ও দুদক উভয়েই বিষয়টি জানে। তবুও এসব প্রস্তাব বাতিল করা হচ্ছে—যা ইঙ্গিত দেয়, সরকারের অভ্যন্তরে বা দুদকের ভেতরে কিছু স্বার্থান্বেষী ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী রয়েছে, যারা দুদকের অকার্যকরতা বজায় রেখে লাভবান হতে চায়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “রাষ্ট্রসংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারের জন্য এটি হতাশাজনক। সরকার নিজেই যখন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে এবং জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলেছে, তখন সেই ঐকমত্যের সুপারিশগুলোই উপেক্ষা করা সরকারের নিজের সংস্কার অবস্থানের পরিপন্থী।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে সব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো কোন যুক্তিতে সরকার বা দুদক অবমূল্যায়ন বা ধামাচাপা দিতে পারে?”
