হাই লাইন ডিফেন্স নিয়েই অগ্নিশর্মা কোচ বাটলার, সমালোচনায়ও অটল অবস্থান
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২০:১১, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২০:১৬, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। থাইল্যান্ড সফরে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরেছে তারা—তবে ফিরেছে সমালোচনার ঝড় নিয়ে। দুই ম্যাচে ৮ গোল হজম করেছে মেয়েরা, যার কেন্দ্রবিন্দুতে কোচ পিটার বাটলারের বিতর্কিত হাই লাইন ডিফেন্স কৌশল।
বাংলাদেশ নারী দল প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের যোগ্যতা অর্জন করেছিল এই কোচের অধীনেই। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটির জন্য যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া ঘোষণা দেন ৫০ লাখ টাকা অনুদানের। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেই প্রতিশ্রুত অর্থ প্রদান করেছে। অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাই লাইন ডিফেন্স নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেন বাটলার।
“আপনারা পছন্দ করুন বা না করুন, হাই লাইন ডিফেন্স আমাদের সিস্টেমের অংশ, এটা থাকবেই,” বলেন ব্রিটিশ কোচ বাটলার। “আমরা এভাবেই এশিয়া কাপে উঠেছি, সাফ জিতেছি। এটা আমাদের খেলার মূল দর্শন।”
বিশ্লেষকরা অবশ্য একমত নন। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও বিশ্লেষক জুলফিকার মাহমুদ বলেন, “ডিফেন্সের সঙ্গে গোলরক্ষকের দূরত্ব অনেক। প্রতিপক্ষ অনুযায়ী কৌশল বদলানো দরকার, কিন্তু প্রতিটি ম্যাচে একই হাই লাইন প্রয়োগ বিপজ্জনক।”
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই গোলের পর গোল হজম করেছে বাংলাদেশ—প্রথম ম্যাচে ০-৩ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ০-৫ ব্যবধানে পরাজয়। বাটলারের তত্ত্ব অনুযায়ী ডিফেন্স লাইন সেন্টার সার্কেলের কাছাকাছি থাকায় প্রতিপক্ষের গতিশীল ফরোয়ার্ডরা সহজেই ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করেছেন।
সমালোচনার জবাবে বাটলার বলেন, “থাইল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে গোল খাওয়া স্বাভাবিক। আমরা প্রায় সব ম্যাচই খেলি প্রতিপক্ষের মাঠে। ঢাকায় না খেলতে পারায় অসুবিধা হয়। বাস্তবতা হলো—গোল তো সব দলই খায়। পরাজয় থেকেও শেখার অনেক কিছু থাকে।”
তিনি যোগ করেন, “আমি বাস্তববাদী কোচ। জয় যেমন শেখায়, পরাজয়ও তেমনি সত্যটা দেখায়।”
ভুটানে চলমান লিগে খেলা সাবিনা ও মাসুরাকে কেন ডাকা হয়নি—এমন প্রশ্নেও নীরব কোচ। তবে ভুটানে খেলা ফুটবলারদের প্রশংসা করে বলেন, “ওরা বাইরে খেলে অর্থ উপার্জন ও ম্যাচ প্র্যাকটিস পায়। দেশে লিগ বা অবকাঠামো ঘাটতি থাকায় এটা দোষের কিছু নয়।”
আগের ম্যাচে সিনিয়র ফুটবলারদের সমালোচনার প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “রিতুর সঙ্গে কথা হয়েছে, সে ভালো মেয়ে। মারিয়া মান্ডার মতো কেউ ফিরেই দারুণ পারফর্ম করে। তাই আমি কাউকে দোষ দিইনি—গঠনমূলক পরামর্শ দিয়েছি।”
এশিয়া কাপে উত্তর কোরিয়া, চীনসহ এশিয়ার শীর্ষ দলগুলো থাকবে। বাটলার বলেন, “মূল চ্যালেঞ্জ শারীরিক সক্ষমতা। আমাদের মেয়েদের আরও শক্তিশালী ও ফিট হতে হবে। এজন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিটনেস কোচ ক্যামেরন লর্ডকে এনেছি।”
