বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

| ১৪ কার্তিক ১৪৩২

স্ট্রোক দিবসের সেমিনারে তথ্য 

স্ট্রোকের পর অক্ষম হয়ে পড়েন ৩৯% মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২:২৭, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

স্ট্রোকের পর অক্ষম হয়ে পড়েন ৩৯% মানুষ

দেশে প্রায় ১ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং স্ট্রোকের পর তাদের ৩৯ ভাগই আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন না। এমনকি ৪০ বছরের নিচের ০.৪৬ শতাংশ মানুষও এখন স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, লক্ষণ প্রকাশের সাড়ে ৪ ঘন্টার মধ্যে স্ট্রোকের রোগীকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব স্ট্রোক দিবসের আলোচনায় এসব তথ্য জানানো হয়। হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোমেন খান। তিনি বলেন, ‘স্ট্রোকের রোগীরা লক্ষণ প্রকাশের সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আসতে পারলে আইভি থ্রম্বোলাইসিসের মাধ্যমে কার্যকর চিকিৎসা সম্ভব।’

দেশে স্ট্রোকে আক্রান্তদের চিত্র তুলে ধরে ডা. মোমেন খান আরও জানান, ‘আমাদের দেশে প্রায় ১.১৪ শতাংশ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩ শতাংশে। আশঙ্কাজনক বিষয় হলো, এখন অল্পবয়সী, অর্থাৎ ৪০ বছরের নিচের মানুষও স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে, যার হার প্রায় ০.৪৬ শতাংশ। 

মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে যে, বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ স্ট্রোক এবং স্ট্রোক-পরবর্তী অক্ষমতায় প্রায় ৩৯.৪ শতাংশ মানুষ ভোগে।’

স্ট্রোকের প্রধান কারণ হিসেবে উচ্চ রক্তচাপ, ডিসলিপিডেমিয়া ও ধূমপানের কথা উল্লেখ করেন।

বক্তারা স্ট্রোক প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন পরিহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস ঘুরে সচেতনতা বার্তা প্রচার করে।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. নুরুজ্জামান খসরু, নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজেশ সাহা, ডা. নাজমুল ইসলাম জয় ও ডা. নাজমুল আলম বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সিবাত আমিন খলিল এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আবু ইসহাক উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন