জুলাই সনদ নিয়ে বিভাজন থাকলে নির্বাচন যথাসময়ে হবে না: নুর

জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন থাকলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, নির্বাচনে বিলম্ব হলে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন এবং সরকার— সবাই চরম সংকটে পড়বে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্নের জন্য নয় দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে।

এসময় নুরুল হক নুর আরও বলেন, “ছোট-বড় সব দলের প্রার্থীরা এখন প্রচারে ব্যস্ত। কিন্তু জুলাই সনদ নিয়ে যদি রাজনৈতিক বিভাজন থেকেই যায়, তাহলে সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের এক মাস আগে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে কমিশনের উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ আছে। তাই তারা যেন সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্পষ্ট করে।”

নুর বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি যেন তারা নির্বাচনি প্রস্তুতি জোরদার করে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। কমিশন জানিয়েছে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হলেই আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এখন আর ডানে-বামে নয়, দেশকে সরাসরি নির্বাচনের পথে এগোতে হবে। জুলাই সনদ ও জাতীয় নির্বাচনই সব প্রশ্নের চূড়ান্ত ফয়সালা নির্ধারণ করবে।”

নিজ নিজ প্রতীকে ভোট করার বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, “ইসির সিদ্ধান্তকে আমরা অ্যাপ্রিশিয়েট করি। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই আরপিও-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আমরা সেটিকে ইতিবাচকভাবে দেখি।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন জোটে হলেও প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে অংশ নেবেন। কিছু দল বা নেতা আপত্তি জানাতে পারেন, তবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়াই এখন জরুরি।”