নির্বাচন সঠিক সময়ে না হলেও আগে গণভোট দিতে হবে: তাহের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:৩২, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:০৪, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে না হলেও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব না ঘটিয়ে আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি জানান। এর আগে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কমনওয়েলথের ‘ইলেকটোরাল সাপোর্ট’ শাখার উপদেষ্টা ও ‘প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট’ প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজের নেতৃত্বে সফররত প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে কমনওয়েলথ প্রতিনিধিদলে ছিল দিনুষা পণ্ডিতরত্ন, ন্যান্সি কানিয়াগো, সার্থক রায় ও ম্যাডোনা লিঞ্চ। জামায়াতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিল দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।
ব্রিফিংয়ে তাহের বলেন, `কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সঠিক সময়ে না-ও হয়, তবু জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পেছানো যাবে না। গণভোটই হলো সংস্কারের মূল চাবিকাঠি। তাই জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে নয়, আগে গণভোট করতে হবে।‘
তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশন সরকারকে নির্বাচনের দিন বা এর আগে গণভোটের সুপারিশ করেছে। `জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।‘
জামায়াতের এই নেতা বলেন, `গণভোটের মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়া নির্ধারিত হবে, আর জাতীয় নির্বাচন হবে ক্ষমতা নির্ধারণের জন্য— দুটোর চরিত্র আলাদা।‘
তাহের সরকারকে দ্রুত জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) সম্পর্কিত আদেশ জারি করে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করার আহ্বান জানান। তার মতে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা দিলে মাসের শেষেই গণভোট আয়োজন সম্ভব। এতে জাতীয় নির্বাচনের মতো সময় লাগবে না। খুব বেশি খরচও হবে না।
গণভোটের সময় ভোটারের ঢেউ লেগে যাবে বলে মন্তব্য করেন আবদুল্লাহ তাহের। তিনি বলেন, গণভোটে সংস্কার বিষয়ে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোই ভোটার নিয়ে আসবে।
ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানান তিনি। তাহেরের ভাষায়, `নির্বাচন যত স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করা যায়, সেটিই আমাদের দাবি।‘
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থীজয় নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, ফলে সেদিন গণভোটের গুরুত্ব হারাবে।
