সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যা
শোকজ নয়, তিন বিচারপতির কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৩৯, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০১:১৯, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
দিনভর আলোচনার পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে কোনো ‘শোকজ’ করা হয়নি; বরং ‘মামলা-সংক্রান্ত কিছু তথ্য’ চাওয়া হয়েছে, যা নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়ারই অংশ।
এর আগে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, বিপুলসংখ্যক জামিন দেওয়ার কারণে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তিন বিচারপতিকে ব্যাখ্যা (শোকজ) চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। এই খবরে সকাল থেকেই বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়।
তবে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। প্রধান বিচারপতি কেবল বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি জাকির হোসেনের কাছ থেকে মামলা-সম্পর্কিত কিছু নির্দিষ্ট তথ্য জানতে চেয়েছেন—যা আদালত ব্যবস্থাপনার অভ্যন্তরীণ দাপ্তরিক কার্যক্রমের অংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিস বা শোকজ জারি করা হয়নি। কিছু সংবাদমাধ্যম বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—বিচার বিভাগ-সম্পর্কিত যেকোনো খবর প্রচারের আগে তার সত্যতা যাচাই করতে হবে, যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন থাকে এবং সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ মামলায় জামিন দিয়েছে। জামিন দেওয়া বিচারিক অধিকার হলেও প্রশ্ন হলো—এত অল্প সময়ে ৮০০ মামলা শোনা কি আদৌ সম্ভব?’
এই মন্তব্যের পর থেকেই আদালতের প্রশাসনিক যোগাযোগ ও তথ্যানুসন্ধান প্রক্রিয়া নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়, যা আজ সুপ্রিম কোর্টের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যায় পরিষ্কার হলো।
