প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় চার নৌযান ধ্বংস, নিহত ১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:০২, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক পাচারে জড়িত সন্দেহে চারটি নৌযান লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তিন দফা হামলা চালিয়েছে। এতে ১৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ।
হেগসেথ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ এ অভিযান চালায়। তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ চারটি নৌযানে তিনটি বিধ্বংসী হামলা চালায়, যেগুলো মাদক পাচারকারী সন্ত্রাসী সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে ছিল।’
পেন্টাগনের দেওয়া তথ্যে বলা হয়, নৌযানগুলো গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়। এগুলো পরিচিত মাদকপাচার রুটে চলাচল করছিল এবং মাদক বহন করছিল। প্রথম নৌযানে আটজন, দ্বিতীয়টিতে চারজন এবং তৃতীয়টিতে তিনজন ছিল। হামলায় সবাই নিহত হয়। একজন বেঁচে যান এবং তাকে উদ্ধারে মার্কিন সাউদার্ন কমান্ড তৎক্ষণাৎ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে মেক্সিকোর উদ্ধার কর্তৃপক্ষ উদ্ধার কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
হেগসেথ আরও বলেন, ‘দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের সীমানা রক্ষায় লড়েছে, এখন আমরা নিজেদের সীমানা রক্ষায় লড়ছি। এই নারকো-টেররিস্টরা আল-কায়েদার চেয়েও বেশি আমেরিকানকে হত্যা করেছে। তাই তাদেরও একইভাবে মোকাবিলা করা হবে, আমরা তাদের খুঁজে বের করব, তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেব এবং শেষ পর্যন্ত নির্মূল করব।’
হামলাগুলো আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত হয়েছে এবং এতে কোনো মার্কিন সেনা আহত হয়নি বলে পেন্টাগনের দাবি।
এ ঘটনাকে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত নারকো-টেররিজমবিরোধী অভিযানের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এমন সামরিক হামলার বৈধতা ও মানবাধিকার প্রশ্নে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মেক্সিকোসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলো ঘটনার স্বাধীন তদন্ত দাবি করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
পেন্টাগনের বিবৃতি ছাড়া ঘটনাটি সম্পর্কে এখনো কোনো স্বাধীন সূত্র থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক মহল এর প্রতিক্রিয়ার দিকেও নজর রাখছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
