নাগরিক হত্যাযজ্ঞ ঠেকাতে আল-ফাশির থেকে সেনা প্রত্যাহার: সুদানি সেনাপ্রধান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:৩৩, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৯:৩৬, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
বেসামরিক নাগরিকদের পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ ঠেকাতে সুদানের উত্তর দারফুর প্রদেশের রাজধানী আল-ফাশিন থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনা প্রধান ও ট্রানজিশনাল সার্বভৌম পরিষদের চেয়ারম্যান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান।
সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বুরহান বলেন, স্থানীয় সামরিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্ব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, শহরে থেকে যুদ্ধ চালিয়ে গেলে তা নাগরিকদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, ‘আল-ফাশিরে বেসামরিক নাগরিকদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। তাই শহর ত্যাগ ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ খোলা ছিল না।’
বুরহান জানান, স্থানীয় কমান্ড থেকেই সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব আসে, যা পরবর্তীতে সামরিক নেতৃত্ব অনুমোদন দেয়। এর লক্ষ্য ছিল সেনাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া এবং অবশিষ্ট নাগরিকদের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা করা।
তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সামরিক অভিযানের একটি ধাপ। তবে আমরা বিশ্বাস করি, সুদানের জনগণই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে এবং সেনাবাহিনী বিজয় অর্জন করবে।’
র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানায়নি।
এদিকে রবিবারও আল-ফাশিরে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। দারফুর অঞ্চলের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান কেন্দ্র হওয়ায় শহরটির কৌশলগত গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।
২০২৪ সালের ১০ মে থেকে আরএসএফ বাহিনী পাঁচ দিক থেকে শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে দেশজুড়ে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো নাগরিক।
