পদার্থবিজ্ঞান নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী
বৈদ্যুতিক বর্তনীতে কোয়ান্টাম বিপ্লব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:১৪, ৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৩৯, ৭ অক্টোবর ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত
এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী— জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ. ডেভোরাট ও জন এম. মার্টিনিস। বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ম্যাক্রোস্কোপিক কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল টানেলিং এবং এনার্জি কোয়ান্টাইজেশন—এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য তাদের এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি দিয়েছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে স্টকহোমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
একাডেমি জানিয়েছে, এই তিন মার্কিন গবেষকের কাজ কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা ও আধুনিক ইলেকট্রনিকসের মধ্যে এক নতুন সেতুবন্ধন তৈরি করেছে, যা ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম কম্পিউটার ও অতিসংবেদনশীল মাপযন্ত্র তৈরিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের এই আবিষ্কার পদার্থবিদ্যার এমন এক ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে যেখানে কোয়ান্টাম নীতিগুলোকে সরাসরি বাস্তব প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে। কোয়ান্টাম টানেলিংয়ের মাধ্যমে কণার গতিবিধি ও শক্তি-বিনিময়ের নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছে এই গবেষণা, যা ন্যানোস্কেল প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় অনন্য অবদান রাখবে।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল— ডিনামাইটের আবিষ্কর্তা— মৃত্যুর আগে তার সম্পদ থেকে পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তি—এই পাঁচ খাতে প্রতি বছর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার দেওয়ার নির্দেশ রেখে যান। পরে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতি শাখা যুক্ত হয়।
এ বছর তিনজন মার্কিন বিজ্ঞানীর হাত ধরে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয় কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যায় নতুন যুগের সূচনা করেছে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।