বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

| ৩০ আশ্বিন ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার সূচক

বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত, টিয়ার-২ 

সমাজকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯:৩৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত, টিয়ার-২ 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর প্রকাশ করেছে বহুল আলোচিত ট্রাফিকিং ইন পারসনস (টিআইপি) রিপোর্ট ২০২৫। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশকে আবারও টিয়ার-২ পর্যায়ে রাখা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ এই অবস্থানে রয়েছে। এর অর্থ, বাংলাদেশ মানবপাচার দমন সংক্রান্ত ন্যূনতম মান পুরোপুরি পূরণ করতে পারেনি, তবে তা অর্জনের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার কিছু অগ্রগতি দেখালেও এখনও উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে। ইতিবাচক দিকগুলো হলো—ভুক্তভোগী শনাক্তকরণ নির্দেশিকা গ্রহণ।ফ্রন্টলাইন কর্মকর্তাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি।আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় রেফারেল মেকানিজম (NRM) অনুমোদন।
পাচারের শিকারদের সুরক্ষা সেবায় পাঠানোর উদ্যোগ বৃদ্ধি।

তবে সমালোচনাও কম নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়—পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচারে অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।যৌন কাজে পাচার ও জোরপূর্বক শিশুশ্রম দমনে কার্যকর পদক্ষেপ সীমিত।শ্রম পরিদর্শকদের অনানুষ্ঠানিক খাত তদারকির ক্ষমতা অপর্যাপ্ত।রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ফেরত আসা অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষায় ঘাটতি রয়েছে।অভিবাসন ব্যয়ের সীমা ঠিক রাখা হলেও, তা শ্রমিকদের ঋণগ্রস্ত করছে এবং পাচারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশ

টিআইপ রিপোর্ট ২০২৫-এ বাংলাদেশ সরকারের জন্য অগ্রাধিকারমূলক সুপারিশগুলো হলো—
পাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্ত ও বিচারে গতি আনা এবং দোষী সাব্যস্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়া।
পাচারবিরোধী ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বৃদ্ধি ও কর্মীদের সক্ষমতা জোরদার করা।
ভুক্তভোগীদের জন্য সুরক্ষা ও পুনর্বাসন সেবার মানোন্নয়ন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
শ্রম নিয়োগ সংস্থা ও দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি এবং অভিবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে ফি নেওয়া বন্ধ করা।

শ্রম আদালত ও ফৌজদারি আদালতে মামলা রেফার করার ক্ষমতা শ্রম পরিদর্শকদের দেওয়া।
রোহিঙ্গা পাচারের অভিযোগের তদন্ত ও বিচারে বিশেষ নজর এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা।
পাচারের শিকারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দায়ী না করা।
ভারতের সঙ্গে ২০১৫ সালের সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশি ভুক্তভোগীদের প্রত্যাবাসন সহজতর করা।

প্রতিবেদনটি স্পষ্ট করে দিয়েছে—বাংলাদেশ পাচার রোধে ইতিবাচক কিছু পদক্ষেপ নিলেও এখনও অনেক ক্ষেত্রেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি আসেনি। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী, প্রবাসী শ্রমিক ও নারী-শিশুর সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর আশা করছে, সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ অচিরেই উন্নততর অবস্থানে যেতে পারবে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

সন্ধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে বসছে ঐকমত্য কমিশন
আমি নিজেই পিআর বুঝি না : মির্জা ফখরুল
অক্টোবরে বাড়ছে ট্রিপ সংখ্যা রবিবার থেকে ১ ঘন্টা বেশি চলবে মেট্রোরেল
সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে সই করবে : আইন উপদেষ্টা
ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ অবরোধ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
পুয়ের্তো রিকোর জালে মেসির আর্জেন্টিনার ৬ গোল
স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট পেপার বিতর্কে তোলপাড়
চাকসু নির্বাচন অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ
রোম সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
মিরপুরের আগুন গার্মেন্টসের দ্বিতীয় তলা থেকে ৯ জনের লাশ উদ্ধার
হাসিনাকে ফেরাতে রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনিসিপিকে প্রতীক নিতে হবে
শিশুদের জন্য বিপজ্জনক ভারতের ৩ কফ সিরাপ : ডব্লিউএইচও
আগামী রবিবার থেকে মাসব্যাপী শিশু-কিশোরদের বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকাদান শুরু