নোবেলের পুরস্কারমূল্য এখন ১৪ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৫২, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০২:০৩, ১২ অক্টোবর ২০২৫

সুইডেনের মহান বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের আবিষ্কারক অ্যালফ্রেড নোবেল-এর ইচ্ছায় ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা—নোবেল পুরস্কার। মানবকল্যাণে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয় ছয়টি বিভাগে—শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও অর্থনীতি।
নোবেলের মৃত্যুর এক বছর আগে, ১৮৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর তিনি একটি ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যেখানে নিজের প্রায় সব সম্পত্তি মানবকল্যাণে ব্যয় করার নির্দেশ দেন। সে সময় তার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা, যা আজকের হিসাবে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য
চলতি বছর (২০২৫) নোবেল বিজয়ীদের প্রত্যেকে পাচ্ছেন ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ কোটি ১৯ টাকা (এক ক্রোনা সমান ১২.৯০ টাকা হিসাবে)। একই অঙ্কের পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও, তবে ২০২২ সালে ছিল ১ কোটি ক্রোনা (১০ কোটি টাকার বেশি)।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল জয়
১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তার কাব্যগ্রন্থ গীতাঞ্জলি-এর জন্য। তিনি ছিলেন ইউরোপের বাইরে প্রথম নোবেল বিজয়ী। পুরস্কারমূল্য হিসেবে তখন তিনি পেয়েছিলেন ৮ হাজার পাউন্ড, যা সেই সময় ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রুপি—আজকের দিনে এক বিশাল অঙ্ক।
রবীন্দ্রনাথ সেই অর্থের একটি বড় অংশ ব্যবহার করেছিলেন শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে।
নোবেল পুরস্কারের মূল্যবৃদ্ধি
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্যও বেড়েছে বহু গুণে। নোবেল কমিটি প্রতি কয়েক বছর অন্তর পুরস্কারের অর্থ বৃদ্ধি করে থাকে। এক শতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে, সেই অঙ্ক এখন দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা, অর্থাৎ ১৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
নোবেল পদক: সোনার সম্মান
নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের শুধু অর্থই নয়, দেওয়া হয় একটি সোনার পদক ও শংসাপত্র।
১৯০২ সালে প্রথম এই পদক দেওয়া হয়। নরওয়ের স্থপতি গুস্তাভ ভিগল্যান্ড ও সুইডেনের খোদাইশিল্পী এরিক লিন্ডবার্গ তৈরি করেছিলেন এর নকশা। আগে পদকটি ২৩ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি হতো, ১৯৮০ সাল থেকে এটি ১৮ ক্যারেট সোনায় তৈরি হচ্ছে।