আসছে বছরের প্রথম সুপারমুন
বিজ্ঞান ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৪৮, ৫ অক্টোবর ২০২৫

আকাশ পরিষ্কার থাকলে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকেই আগামী সোমবার রাতে দেখা যাবে বছরের প্রথম সুপারমুন। বিশেষ কোনো দূরবীন বা জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ছাড়াই খালি চোখে এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব হবে।
চাঁদ যখন তার উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থেকে পূর্ণিমার রূপ নেয়, তখন তাকে বলা হয় ‘সুপারমুন’। এই সময় চাঁদ সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ বড় এবং ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছরের অক্টোবরের এই পূর্ণিমাই হবে ২০২৫ সালের তিনটি সুপারমুনের মধ্যে প্রথমটি। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ২,২৪,৬০০ মাইল (৩,৬১,৪৫৯ কিলোমিটার) দূরত্বে অবস্থান করবে। তাই সোমবার রাতের চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় দেখা যাবে।
তবে এই উজ্জ্বলতার সূক্ষ্ম পার্থক্য খালি চোখে বোঝা কিছুটা কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে যদি কেউ আগের রাতের সাধারণ পূর্ণিমা পর্যবেক্ষণ না করে থাকেন।
আসছে আরও দুটি সুপারমুন
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বছরের সবচেয়ে নিকটবর্তী সুপারমুন হবে নভেম্বরে, আর বছরের শেষ বা তৃতীয় সুপারমুন দেখা যাবে ডিসেম্বরে। প্রতিবারই চাঁদের কক্ষপথে সামান্য পার্থক্য ঘটে, ফলে উজ্জ্বলতা ও আকারে সূক্ষ্ম পরিবর্তন দেখা যায়।
২০২৬: দুই চন্দ্রগ্রহণের বছর
২০২৬ সালেও মহাজাগতিক ঘটনাবলীর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
মার্চে ঘটবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, যা উত্তর আমেরিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দৃশ্যমান হবে।
আগস্টে হবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ, যা আমেরিকা, আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু অংশ থেকে দেখা যাবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পরামর্শ
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছেন, চাঁদ দেখার জন্য শহরের আলোক দূষণ থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করা শ্রেয়। এমন খোলা ও অন্ধকার জায়গায় গেলে সুপারমুনের আসল সৌন্দর্য ও দীপ্তি চোখে পড়বে আরও স্পষ্টভাবে।
সূত্র : দ্য ইকোনোমিক টাইমস