ফিট থাকা মানেই কঠোর শরীরচর্চা নয় : বিদ্যা বালান
জীবনযাপন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:০৯, ৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৫৬, ৬ নভেম্বর ২০২৫
বিদ্যা বালান। ছবি: দ্য হ্যান্স ইন্ডিয়া
বলিউডের অনন্য অভিনেত্রী বিদ্যা বালান সব সময়ই নিজের স্বকীয়তা ও আত্মবিশ্বাসের জন্য পরিচিত। ক্যারিয়ারের শুরুতে খানিক রোগা চেহারার হলেও পরবর্তীতে ওজন বেড়ে যায় তার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও ঝরঝরে চেহারায় ধরা দিয়েছেন ‘ভুলভুলাইয়া ৩’-এর অভিনেত্রী। মাধুরীর সঙ্গে তার নাচের দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন— এতটা স্লিম হলেন কীভাবে?
সম্প্রতি এক পডকাস্টে বিদ্যা বালান নিজেই জানিয়েছেন তার ফিট থাকার গোপন রহস্য। অবাক করার বিষয় হলো, গত এক বছরে তিনি তেমন কোনো শরীরচর্চাই করেননি! বরং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনই এনে দিয়েছে এই বিশাল রূপান্তর।
প্রদাহই ওজন বৃদ্ধির কারণ!
বিদ্যা জানান, একটি ওয়েলনেস সংস্থার কর্মশালায় যোগ দেওয়ার পর তিনি জানতে পারেন, তার অতিরিক্ত ওজনের মূল কারণ ইনফ্ল্যামেশন বা শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ। সংস্থাটি তাকে জানায়, শুধু শরীরচর্চা নয়, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ না হলে ওজন কমানো সম্ভব নয়। এরপর তাদের নির্দেশনায় তিনি শুরু করেন অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট।
অভিনেত্রীর ভাষায়,“বিশ্বাস করুন, গত এক বছরে আমি কঠোর শরীরচর্চা করিনি। শুধু অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট মেনেই এই পরিবর্তন এসেছে।”
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট কী?
‘ইনফ্ল্যামেশন’ বা প্রদাহ হলো শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। কিন্তু যখন এটি অতিমাত্রায় বেড়ে যায়, তখন তা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, এমনকি ক্যানসারের মতো জটিল রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পুষ্টিবিদ গুঞ্জন তানেজার ভাষায়,“রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে প্রদাহ প্রয়োজন, তবে অতিরিক্ত হলে তা শরীরের ক্ষতি করে। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।”
কীভাবে কাজ করে এই ডায়েট?
এই ডায়েটে বাদ দেওয়া হয়—
প্রক্রিয়াজাত খাবার
ময়দা, চিনি ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার
এর পরিবর্তে রাখা হয়—
তাজা ফলমূল ও সবজি
ডাল, মাছ, বাদাম, দই, ছানা
ওটস, ব্রাউন রাইস
হলুদ, আদা, রসুনের মতো প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক মসলা
এই নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসই বিদ্যা বালানকে দিয়েছে নতুন উদ্যম ও আত্মবিশ্বাস।
বিদ্যার বার্তা
“আমি সারাজীবন আমার ওজনের সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। কিন্তু এখন বুঝেছি— ফিট থাকা মানে শুধু কঠিন এক্সারসাইজ নয়, বরং নিজের শরীরকে বুঝে তার যত্ন নেওয়া।”
বিদ্যা বালানের ফিটনেস জার্নি বলিউডের অগণিত নারীর অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন, সৌন্দর্য মানে কেবল চেহারার সৌন্দর্য নয়— নিজের প্রতি ভালোবাসা, সচেতনতা ও ভারসাম্যই আসল ফিটনেসের চাবিকাঠি।
