কুকিজে হ্যাঁ বলবেন নাকি না?
প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭:২৫, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কুকিজ আসলে কী? জানুন ইন্টারনেট নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও সুবিধা-অসুবিধা
ইন্টারনেটে কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করলে প্রায়ই একটি বার্তা দেখা যায়— “আপনি কি কুকিজ গ্রহণ করবেন?”। বেশিরভাগ ব্যবহারকারী না ভেবে সরাসরি “Accept All” ক্লিক করে ফেলেন। কিন্তু এই ছোট্ট সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও গোপনীয়তার নিরাপত্তা।
কুকিজ হলো ছোট ফাইল, যা ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর ডিভাইসে সংরক্ষণ করে। এগুলোর মাধ্যমে ব্রাউজার আমাদের লগইন তথ্য মনে রাখে, অনলাইন শপিং কার্টে পণ্য ধরে রাখে, ভাষা বা অঞ্চল সেভ করে এবং ব্যবহার অভ্যাস অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেখায়।
কুকিজের ধরন
অপরিহার্য কুকিজ: ওয়েবসাইট চালাতে দরকার।
ফাংশনাল কুকিজ: ব্যবহারকারীর পছন্দ যেমন ভাষা বা অঞ্চল মনে রাখে।
অ্যানালাইটিক্স কুকিজ: ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ ও ব্যবহার ডেটা ট্র্যাক করে।
অ্যাডভার্টাইজিং কুকিজ: বিভিন্ন সাইটে আপনার গতিবিধি ট্র্যাক করে বিজ্ঞাপন দেখায়।
গ্রহণ করলে কী হয়?
সব কুকিজ মেনে নিলে ওয়েবসাইট ব্যবহার সহজ হয়। লগইন করতে কম ঝামেলা, পছন্দমতো কনটেন্ট পাওয়া যায়। তবে এর বিনিময়ে আপনার ব্রাউজিং অভ্যাস ট্র্যাক হয়, যা বিজ্ঞাপনদাতারা ব্যবহার করে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন দেখাতে।
প্রত্যাখ্যান করলে কী হয়?
অপ্রয়োজনীয় কুকিজ প্রত্যাখ্যান করলে আপনার গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকে। তবে কিছু ওয়েবসাইট সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে, কিছু ফিচার সীমিত হয়ে যেতে পারে।
গোপনীয়তার ঝুঁকি ও করণীয়
বারবার কুকিজ নোটিশ আসায় অনেকেই “কনসেন্ট ফ্যাটিগে” ভুগে ভেবে না ভেবেই “Accept All” চাপেন। এ ঝুঁকি এড়াতে—
শুধু অপরিহার্য কুকিজ গ্রহণ করুন।
তৃতীয় পক্ষের ট্র্যাকিং কুকিজ বন্ধ রাখুন।
নিয়মিত কুকিজ ডিলিট করুন।
ব্রাউজার এক্সটেনশন বা প্রাইভেসি টুল ব্যবহার করুন।
নতুন প্রযুক্তি গ্লোবাল প্রাইভেসি কন্ট্রল (GPC) ব্যবহার করুন।
প্রয়োজনীয় কুকিজ গ্রহণ করা সুবিধাজনক, তবে বিজ্ঞাপন বা ট্র্যাকিং কুকিজ এড়িয়ে চলাই উত্তম। সচেতন থাকুন—কারণ একটি ছোট্ট ক্লিকই আপনার অনলাইন নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া