এক দশকে জেনারেটিভ এআই বাজার ছাড়াবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার
প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:৪১, ৭ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বব্যাপী জেনারেটিভ এআই বা জেনএআইয়ের বাজার চলতি বছর শেষে ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রিসিডেন্স রিসার্চ জানিয়েছে, আগামী প্রায় এক দশকে, অর্থাৎ ২০৩৪ সালের মধ্যে এ বাজারের আকার ১ ট্রিলিয়ন ডলার বা এক লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
প্রিসিডেন্স রিসার্চের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ থেকে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ হারে এ বাজার বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত প্রসারমান এই খাত প্রযুক্তি ও ব্যবসার রূপান্তর ঘটাচ্ছে অভূতপূর্ব গতিতে।
গত কয়েক বছরে জেনারেটিভ এআই বিশ্ব প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব এনেছে। মানুষের মতো টেক্সট, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম এই প্রযুক্তি এখন বহুমুখী খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে—শিক্ষা, ব্যবসা, বিপণন, চিকিৎসা, সফটওয়্যার উন্নয়ন ও সাইবার নিরাপত্তা সহ নানা ক্ষেত্রে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের প্রক্রিয়ায় জেনএআই সংযুক্ত করছে। অনেক জায়গায় এটি বাধ্যতামূলক প্রযুক্তি হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
এই বাজারে এখন শীর্ষে রয়েছে ওপেনএআই, মিডজার্নি, লাইট্রিকস, হাগিং ফেসসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান।
ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি এই খাতের সবচেয়ে আলোচিত নাম।
সম্প্রতি ওপেনএআইয়ের বাজারমূল্য পৌঁছেছে ৫০ হাজার কোটি ডলারে, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রাইভেট কোম্পানিতে পরিণত করেছে।
অন্যান্য জনপ্রিয় টুলের মধ্যে রয়েছে গুগলের বার্ড, জ্যাসপারএআই, মিডজার্নি ইমেজ জেনারেটর প্রভৃতি।
প্রিসিডেন্স রিসার্চ জানিয়েছে, জেনারেটিভ এআই বাজারে উত্তর আমেরিকা নেতৃত্ব দিচ্ছে, বিশেষত উদ্ভাবন, নীতিনির্ধারণ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় তাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
যদিও এআই প্রযুক্তি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, তবু এর উত্থান পুরনো অনেক শিল্পখাতের জন্য চ্যালেঞ্জও তৈরি করছে।
সেমিকন্ডাক্টর, হার্ডওয়্যার, ক্লাউড সফটওয়্যার, আইটি সার্ভিস ও বিজ্ঞাপন খাতের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে টিকে থাকতে চাপের মুখে পড়তে পারে।
নতুন এআই-নির্ভর কোম্পানিগুলো পুরনোদের বাজার দখল করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষক মানদীপ সিংহ বলেন,“আগামী দিনে তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞাপন ও সাইবার নিরাপত্তা খাতে জেনারেটিভ এআইয়ের প্রভাব আরও গভীর হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ ও কার্যক্রমের বড় অংশই এআইনির্ভর হয়ে উঠবে।”