অ্যামাজনে আবারো ছাঁটাই ঝড়!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:০৬, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত
প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যামাজন আবারও বড় ধরনের ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে। এবার লক্ষ্য মানবসম্পদ বিভাগ—যা অভ্যন্তরীণভাবে পিপল এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি টিম নামে পরিচিত। ফরচুন-এর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অ্যামাজন তার এইচআর ইউনিটের ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। যদিও মোট কতজন কর্মী প্রভাবিত হবেন এবং ছাঁটাই কার্যক্রম কবে শুরু হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
কোম্পানির অন্যান্য ইউনিটেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে ওয়ান্ডারি পডকাস্ট আর্ম, কনজিউমার ডিভাইস গ্রুপ এবং অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস বিভাগ থেকেও কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল।
এই নতুন পদক্ষেপ অ্যামাজনের কৌশলগত পুনর্গঠনের ইঙ্গিত বহন করছে। কোম্পানিটি এখন অটোমেশন ও দক্ষতার দিকে জোর দিচ্ছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ক্লাউড প্রযুক্তি হবে মূল চালিকা শক্তি। এআই-নির্ভর অপারেশনের দিকে এগিয়ে যেতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এই বছরেই ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মূলধন বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—মূলত ডেটা সেন্টার নির্মাণ এবং এআই অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য।
অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি, যিনি ২০২১ সালে জেফ বেজোসের স্থলাভিষিক্ত হন, এক স্মারকলিপিতে স্পষ্ট করেছেন—এআই-চালিত রূপান্তরই কোম্পানির ভবিষ্যৎ। তিনি কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “যারা এআই-তে দক্ষ হয়ে উঠবেন এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তি উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন, তারাই ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে জায়গা পাবেন।”
তবে সেই বার্তায় ছিল সতর্কতাও—এআই ব্যবহারের ফলে মোট কর্মীসংখ্যা হ্রাস পাবে, কারণ কোম্পানি “দক্ষতা বৃদ্ধির” দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
অ্যান্ডি জ্যাসির নেতৃত্বেই অ্যামাজন ইতিমধ্যে তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ছাঁটাই সম্পন্ন করেছে। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ২৭,০০০ কর্পোরেট পদ বাতিল করা হয়েছিল। তখনকার কারণ ছিল মহামারী-পরবর্তী অতিরিক্ত সম্প্রসারণ এবং ভোক্তা অভ্যাসের পরিবর্তন। কিন্তু বর্তমান ছাঁটাই পরিকল্পনা আরও কৌশলগত—এআই-কেন্দ্রিক দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক কাঠামো গঠনের অংশ।