শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

| ১ কার্তিক ১৪৩২

‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত

শুক্রবার প্রজ্ঞাপন না এলে আমরণ অনশন ও কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২:১৩, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

শুক্রবার প্রজ্ঞাপন না এলে আমরণ অনশন ও কর্মবিরতি

২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও ৩ দফা দাবি আদায়ে ঘোষিত ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি স্থগিত করেছে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তবে সরকারকে শেষ আলটিমেটাম দিয়ে তারা নতুন দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষক নেতারা জানান—আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ২টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে তারা আমরণ অনশন শুরু করবেন। পাশাপাশি রবিবার (১৯ অক্টোবর) থেকে দেশব্যাপী সব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলবে।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিকেলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় ১৫ সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধি দল। আলোচনার পর শিক্ষক নেতারা জানান, এটি ছিল কেবল ‘আইওয়াশ’।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন,“শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার আলোচনার নামে প্রহসন করেছেন। আমরা বলেছি—আমাদের ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করুন। উনি বলেছেন, এর বাইরে কিছু করা সম্ভব নয়। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি—এখন ১০ শতাংশ, পরবর্তী বাজেটে আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হোক। কিন্তু সরকার লিখিত প্রজ্ঞাপন দিতে রাজি নয়।”

তিনি আরও জানান, শিক্ষকরা গত আগস্ট থেকেই বাড়িভাড়া, টিফিন ও উৎসব ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। এনএসআইয়ের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল ন্যূনতম বাড়িভাড়া দুই হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, কিন্তু শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে শতাংশ হারে বৃদ্ধির দাবি জানান।

এদিকে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার জানান,“শিক্ষকরা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িভাড়ার দাবি তুলেছেন। তবে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় ৫ শতাংশ অথবা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী বছরের নতুন বেতন কমিশনের প্রস্তাবে শিক্ষকদের আরও সম্মানজনক কাঠামো দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

টানা পঞ্চম দিনের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের দাবিগুলো হলো—২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধি,১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা।

দেশের বিভিন্ন জেলায়ও শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মবিরতি পালন করছেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন