সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড জিতলো পাঠাও
ফোর্বস এশিয়ার তালিকায়ও স্থান
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬:০৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ২০২৫ সালে সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে মর্যাদাপূর্ণ সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। এই স্বীকৃতি পাঠাও-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জন্য এক নতুন মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশে তৈরি, বাংলাদেশের জন্য তৈরি’ এই মূলমন্ত্রে যাত্রা শুরু করা পাঠাও মাত্র দশ বছরের মাথায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার জিতে নতুন ইতিহাস গড়ল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২৫ সালেই পাঠাও তার ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে, যা এ অর্জনকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
সুপারব্র্যান্ডস হলো একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানকারী সংস্থা, যারা মান, নির্ভরযোগ্যতা ও স্বকীয়তার ভিত্তিতে শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোকে পুরস্কৃত করে। বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রদান করা এই সম্মান বিশ্বজুড়ে ব্র্যান্ডগুলোর কাছে অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সুপার অ্যাপ চালু করে পাঠাও সেই বিশেষ ক্যাটাগরিতেই পুরস্কার অর্জন করেছে।
গত এক দশকে পাঠাও দেশের ডিজিটাল সেবার ধারা বদলে দিয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি, পার্সেল ও কুরিয়ার, ডিজিটাল পেমেন্ট—সবকিছু একত্রিত করে পাঠাও তৈরি করেছে একটি লাইফস্টাইল-ড্রিভেন ডিজিটাল ইকোসিস্টেম। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটির রয়েছে ১ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী, ১ লক্ষ ৫০ হাজার ব্যবসায়ী এবং কয়েক লক্ষ রাইডার, ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট। এ পর্যন্ত পাঠাও দেশে ৫ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
২০২৫ সাল পাঠাও-এর জন্য সাফল্যমণ্ডিত একটি বছর। সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ফোর্বস এশিয়ার ‘100 to Watch’ তালিকায় স্থান পেয়েছে, যেখানে কোম্পানির প্রভাব, উদ্ভাবন এবং বাজারে ইতিবাচক অবদানকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাঠাও-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন,“সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড অর্জন আমাদের জন্য এক গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে আমাদের ব্যবহারকারী ও পার্টনাররা আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। গত ১০ বছরে আমরা চেষ্টা করেছি এমন একটি প্রোডাক্ট তৈরি করতে, যা মানুষ ব্যবহার করতে ভালোবাসবে এবং যার জন্য অর্থ ব্যয় করতেও খুশি থাকবে। এই স্বীকৃতি আমাদের নতুনত্ব ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের স্বীকৃতি।”