বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের স্বীকৃতি লাভে অগ্রণী ভূমিকা বাংলাদেশের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:০৩, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:৩৩, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ছবি: সংগৃহীত
আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সকল দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলাতেও দিবসটি পালিত হচ্ছে ‘জাতিসংঘ দিবস’ হিসেবে। দিবসটির প্রধান লক্ষ্য নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।
১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ১৪ নভেম্বর তারিখটিকে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০৭ থেকে পৃথিবীজুড়ে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জাতিসংঘের স্বীকৃত একটি দিবস হিসেবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি জানায়, আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে এ দিবসটির স্বীকৃতি লাভের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ।
সমিতির তথ্যানুযায়ি, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার ১৪ নভেম্বর ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালনের জন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব করে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘে এ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় (ইউএন রেজোলুশন ৬১/২২৫)। এর পর থেকে গত ১৮ বছর ধরে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রে প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর জাতিসংঘের একটি দিবস হিসেবে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে।
সমিতি আরও জানায়, জাতিসংঘ রেজ্যুলেশন অনুযায়ী প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
১৪ নভেম্বর ইনসুলিনের আবিষ্কারক ফ্রেডেরিক ব্যান্টিং-এর জন্মদিন। ১৯২১ সালে ডা. ফ্রেডেরিক ব্যান্টিং ও তার সহকর্মী চার্লস বেস্ট গবেষণার মাধ্যমে কুকুরের শরীর থেকে ইনসুলিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। এই ইনসুলিন ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের জন্য ৫টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এগুলো হচ্ছে-
১. ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীকে রোগনির্ণয়ের আওতায় আনা।
২. ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীর রক্তশর্করা সুনিয়ন্ত্রণে রাখা।
৩.৮০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগীর রক্তচাপ সুনিয়ন্ত্রণে রাখা।
৪. ৬০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী, যাদের বয়স চল্লিশের বেশি তাদের ‘স্টাটিন’ (এমন এক ধরনের ওষুধ যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ব্যবহৃত হয়) পাওয়া নিশ্চিত করা।
৫. শতভাগ টাইপ-১ ডায়াবেটিক রোগীর কাছে ইনসুলিন ও অন্যান্য সুবিধা পৌঁছে দেয়া।
