এ বছর ডেঙ্গু রোগী ৭৭ হাজার ছাড়াল

দেশে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ও মৃত্যু ৩০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে এ মাসের আট দিনে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছে ৭ হাজার ৪৮৬ জন ও মারা গেছে ২৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৮৩৪ জন। এ সময়ে কেউ মারা যায়নি। ফলে এ নিয়ে এ বছর ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ৩৪৮ জন ও মারা গেছে ৩০৭ জন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ২৬৩ জন, ঢাকা বিভাগে ২২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১৬৭ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। 

এ বছর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় অক্টোবরে, ৮০ জনের। এর আগে ৭৬ জনের মৃত্যু হয় সেপ্টেম্বর মাসে। এছাড়া জুলাইয়ে ৪১ জন, আগস্টে ৩৯ জন, জুনে ১৯ জন, জানুয়ারিতে ১০ জন, এপ্রিলে সাত জন, মে ও ফেব্রুয়ারিতে তিন জন করে মারা যায়। মার্চ মাসে কেউ মারা যায়নি। চলতি নভেম্বরে গত আট দিনে ২৯ জন মারা গেছে।

এ বছর সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোরে ২২ হাজার ৫০ জন ও এরপর সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন। চলতি নভেম্বরে গত আট দিনে ৭ হাজার ৪৮৬ জন।

এছাড়া জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫১ জন, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এ বছর দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩টিতেই ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ২০০০ সালে প্রথম ঢাকায় বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় ৯৩ জন। এরপর থেকে ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত থাকে।

এরপর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যাপক আকার নেয়। সে বছর আক্রান্ত হয় ৩ লাখের বেশি মানুষ ও মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন। সেটাই ছিল দেশে সর্বোচ্চ রোগী ও মৃত্যুর ঘটনা। এরপর ২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের।