ওর সঙ্গে চালাকি মানেই বিপদ! — বিজয় বর্মা
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:৫০, ১১ নভেম্বর ২০২৫
বলিউড অভিনেতা বিজয় বর্মা। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
ভারতীয় সিনেমার দুই মহাতারকা নাসিরুদ্দিন শাহ ও শাবানা আজমি প্রায় ১৮ বছর পর ফের একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন। তাদের শেষ দেখা গিয়েছিল ২০০৭ সালের “দশ কাহানিয়া” ছবির “রাইস প্লেট” সেগমেন্টে।
সাত ও আটের দশকে তারা ছিলেন ভারতীয় সমান্তরাল ধারার সিনেমার প্রাণ, একসঙ্গে উপহার দিয়েছেন ‘নিশান্ত’, ‘স্পর্শ’, ‘খামোশ’, ‘পার’, ‘লিবাস’-এর মতো কালজয়ী চলচ্চিত্র।
এবার তারা ফিরছেন শেখর কাপুরের নতুন সিনেমা “মাসুম: আ নিউ জেনারেশন”-এ— যা ১৯৮৩ সালের কাল্ট ক্লাসিক “মাসুম”-এর সিক্যুয়েল।
শাবানা আজমি বলেন,“একসময় আমরা একসঙ্গে দশটা সিনেমা করতাম। আমি নাসিরের সঙ্গে এত সময় কাটাতাম, যতটা নিজের স্বামী জাভেদ আখতারের সঙ্গেও কাটাতাম না!”
সম্প্রতি নাসিরুদ্দিনের “গুস্তাখ ইশক” ছবিতে তার অভিনয় দেখে শাবানা অভিভূত। তিনি হাসতে হাসতে বলেন,“পঞ্চাশ বছরের কেরিয়ারে ও কাউকেই এমন প্রশংসা করেনি। মণীশ মলহোত্রাকে বলেছে, ‘তুমি অন্যতম সেরা প্রযোজক যার সঙ্গে আমি কাজ করেছি।’ এটা বিরল!”
অভিনেতা বিজয় বর্মার জন্য নাসিরুদ্দিন শাহের সঙ্গে কাজ করা ছিল যেন এক স্বপ্নপূরণ।
তিনি বলেন,“ছোটবেলা থেকে ওঁকে হিরো হিসেবে দেখি। নাসির স্যারের সঙ্গে অভিনয় করা মানেই সিনেমার পাঠ।”
বিজয় জানান, এফটিআইআই–এ তিনি নাসিরের ক্লাসে ঢোকার সুযোগ না পেলেও ক্লাসরুমের বাইরে সারাদিন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছিলেন। পরদিন নিজেই নাসির তাঁদের ক্লাসে ডাকেন।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন,“ওর সঙ্গে দু’মাস কাজের অভিজ্ঞতা জীবন বদলে দিয়েছে। উনি অত্যন্ত প্রখর মস্তিষ্কের মানুষ। খুঁটিয়ে দেখেন সবকিছু। ওঁর সঙ্গে যদি কেউ চালাকি করতে যায়— বিপদ! বিরাট বিপদ!”
‘মাসুম: আ নিউ জেনারেশন’ শুধু একটি রিইউনিয়ন নয়, বরং সময়ের পরিবর্তন, প্রজন্মের সংঘাত এবং আবেগের নতুন রূপ তুলে ধরবে। দর্শকরা আবারও দেখতে পাবেন দুই কিংবদন্তির অনবদ্য অভিনয়, যেখানে বাস্তব ও অনুভূতির সীমারেখা একাকার হয়ে যাবে।
