এই দিন জন্মেছেন জেমস কুক
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:৪৬, ৭ নভেম্বর ২০২৫
জেমস কুক
৭ নভেম্বর ইতিহাসে বিশেষ এক দিন। এই দিনে পৃথিবীর নানা প্রান্তে জন্ম নিয়েছিলেন এমন সব মানুষ, যাঁরা তাদের প্রতিভা, চিন্তাশক্তি ও কাজের মাধ্যমে মানবসভ্যতার গতিপথ বদলে দিয়েছেন। তাঁদের জন্মদিনে সমাজকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।
ক্যাপ্টেন জেমস কুক (জ. ১৭২৮)
ব্রিটিশ নৌসেনাপতি, অভিযাত্রী ও আবিষ্কারক জেমস কুক পৃথিবীর মানচিত্রে নতুন নতুন দেশ ও দ্বীপ আবিষ্কারের জন্য খ্যাত। প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে তার অভিযাত্রা ইউরোপের জ্ঞানভাণ্ডারে অমূল্য সংযোজন এনে দেয়।
বিপিন চন্দ্র পাল (জ. ১৮৫৮)
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম অগ্রণী নেতা বিপিন চন্দ্র পাল ছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতীক। “লাল-বাল-পাল” ত্রয়ীর একজন হিসেবে তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রেরণার উৎস ছিলেন।
মেরি কুরি (জ. ১৮৬৭)
বিশ্বের প্রথম নারী নোবেল বিজয়ী এবং একমাত্র ব্যক্তি যিনি পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন—দুই ক্ষেত্রেই নোবেল পেয়েছেন। রেডিওঅ্যাক্টিভিটির ওপর তাঁর যুগান্তকারী গবেষণা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানকে নতুন দিক দিয়েছে।
লিওন ত্রোৎস্কি (জ. ১৮৭৯)
রুশ বিপ্লবের প্রধান সংগঠক ও সমাজতান্ত্রিক তাত্ত্বিক। ভ্লাদিমির লেনিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এই বিপ্লবী “রেড আর্মি” গঠনের কৃতিত্বের দাবিদার।
সি. ভি. রমন (জ. ১৮৮৮)
ভারতের প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন “রমন প্রভাব”-এর আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর অবদান ভারতীয় বিজ্ঞানকে বিশ্বমানচিত্রে স্থান করে দেয়।
আলবেয়ার কামু (জ. ১৯১৩)
আলজেরীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি লেখক ও দার্শনিক। ‘দি প্লেগ’, ‘দি স্ট্রেঞ্জার’সহ তাঁর রচনাগুলো মানবজীবনের অস্তিত্ববাদী দার্শনিক প্রশ্নকে সাহিত্যিকভাবে উপস্থাপন করেছে। ১৯৫৭ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পান।
আমিনুল ইসলাম (জ. ১৯৩১)
বাংলাদেশের আধুনিক শিল্প আন্দোলনের পথিকৃৎদের একজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের এই অধ্যাপক তাঁর সৃষ্টিশীল কাজ ও শিল্পচিন্তার জন্য এক প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছেন।
ঊষা উথুপ (জ. ১৯৪৭)
ভারতীয় পপ ও জ্যাজ সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী। তাঁর কণ্ঠে এক অনন্য শক্তি ও উচ্ছ্বাস আছে, যা তাঁকে ভারতীয় সঙ্গীতাঙ্গনের এক অনন্য মুখে পরিণত করেছে।
কমল হাসান (জ. ১৯৫৪)
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি। অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও রাজনীতিক—সব ভূমিকাতেই তিনি সমান দক্ষ। শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (জ. ১৯৭১)
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলো নারীর আবেগ, সংগ্রাম ও সাফল্যের প্রতীক। তিনি সমসাময়িক বাণিজ্যিক ও বিকল্পধারার উভয় সিনেমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
রিও ফার্ডিনান্ড (জ. ১৯৭৮)
ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ফুটবলার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে বহু শিরোপা জয়ী এই ডিফেন্ডার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে অন্যতম সেরা রক্ষণভাগের খেলোয়াড়।
রাইমা সেন (জ. ১৯৭৯)
প্রখ্যাত ভারতীয় অভিনেত্রী, অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নাতনি। সমসাময়িক বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেছেন।
অনুষ্কা শেট্টি (জ. ১৯৮১)
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার তারকা। ‘বাহুবলী’সহ তাঁর অভিনীত বহু সিনেমা ভারতজুড়ে বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করেছে।
মাইনুল আহসান নোবেল (জ. ১৯৯৭)
বাংলাদেশি গায়ক, যিনি সারেগামাপা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন। তাঁর কণ্ঠের ভিন্নধর্মী গায়কী ও আবেগময় পরিবেশনা তরুণদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
