৬ নভেম্বরের স্মরণীয় প্রয়াণ
৬ নভেম্বরের স্মরণীয় প্রয়াণ: উমর ইবনুল খাত্তাব থেকে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও সঞ্জীব কুমার—ইতিহাসে চিরস্মরণীয় যাত্রাবির
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:৩০, ৬ নভেম্বর ২০২৫
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
আজ, ৬ নভেম্বর—ইতিহাসের এই দিনে বিদায় নিয়েছেন বহু কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব। ইসলামি ইতিহাসের ন্যায়বিচারের প্রতীক উমর ইবনুল খাত্তাব থেকে শুরু করে বাংলা সাহিত্যের প্রাণ নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা বলিউডের চিরসবুজ নায়ক সঞ্জীব কুমার—প্রতিটি নামই আজও স্মৃতির পাতায় উজ্জ্বল।
উমর ইবনুল খাত্তাব (৫৭৯–৬৪৪)
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ও মহান প্রশাসক উমর ইবনুল খাত্তাব ছিলেন ন্যায়বিচার, শৃঙ্খলা ও নেতৃত্বের প্রতীক। তার শাসনামলে ইসলামি সাম্রাজ্য দ্রুত বিস্তৃত হয়, আর সমাজব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত হয় সুবিচার ও কল্যাণনীতি। মদিনায় এক হত্যাচেষ্টায় তিনি শাহাদাত বরণ করেন।
আন্টইনে বুস্নইস (১৪৯২)
ফ্রান্সের মধ্যযুগের বিখ্যাত সুরকার ও কবি। গির্জা সংগীত ও রোমান্টিক কবিতার সংমিশ্রণে তিনি ইউরোপীয় সংগীতের ধারা বদলে দিয়েছিলেন। রেনেসাঁ যুগের সংগীতের ভিত্তি নির্মাণে তাঁর অবদান অনন্য।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় (১৯১৮–১৯৭০)
বাংলা সাহিত্যের প্রথিতযশা গল্পকার ও প্রাবন্ধিক। ‘টেনিদা’ চরিত্রের স্রষ্টা হিসেবে তিনি আজও পাঠকের মনে অমর। তাঁর রম্যরচনা ও গল্পে সমাজচিত্র, বুদ্ধি, কৌতুক ও মানবিক বোধ একাকার হয়ে আছে। ১৯৭০ সালের ৬ নভেম্বর তিনি প্রয়াত হন।
সঞ্জীব কুমার (১৯৩৮–১৯৮৫)
বলিউডের অভিনয়জগতের কিংবদন্তি। ‘শোলে’, ‘কোশিশ’, ‘আন্ধি’, ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’—প্রতিটি ছবিতেই সঞ্জীব কুমারের অভিনয় ছিল সংবেদনশীলতার এক অনন্য পাঠ। অল্প বয়সে মৃত্যুর মধ্যেও তিনি রেখে গেছেন অমর ছাপ।
হান্স ভন ইউলার-ছেলপিন (১৮৭৩–১৯৬৪)
জার্মান বংশোদ্ভূত সুইডিশ বিজ্ঞানী, যিনি এনজাইম রসায়নে অসাধারণ গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পান। জীবরসায়নের আধুনিক ধারণার ভিত্তি স্থাপন করেন তিনি।
সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় (১৯২০–২০১০)
ভারতের প্রখ্যাত আইনজীবী, রাজনীতিক ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। জরুরি অবস্থার সময় তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা আজও ইতিহাসে আলোচনার বিষয়। আইনের জগতে এবং প্রশাসনিক দক্ষতায় তিনি ছিলেন এক বিশিষ্ট নাম।
অরুণ দত্ত (১৯৩৬–২০২১)
বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও গীতিকার। তাঁর কণ্ঠে গাওয়া আধুনিক গান ও রবীন্দ্রসংগীত আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে অনুরণিত হয়। সুর ও আবেগের মেলবন্ধনে অরুণ দত্ত ছিলেন অনন্য প্রতিভা।
৬ নভেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কালের স্রোতে মানুষ চলে যায়, কিন্তু তাঁদের কর্ম ও অবদান অমর হয়ে থাকে ইতিহাসে। এই মহান ব্যক্তিদের স্মরণই আমাদের সভ্যতার প্রতি শ্রদ্ধা ও শিক্ষার নিদর্শন।
