কবি, লেখিকা, শিক্ষাবিদ—এক অনন্য বাঙালি নারীপ্রতিভা নবনীতা দেবসেন
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:২০, ৭ নভেম্বর ২০২৫
নবনীতা দেবসেন
আজ ৭ নভেম্বর ইতিহাসের পাতায় চিহ্নিত দিন—এই দিনে পৃথিবী হারিয়েছিল রাজা থেকে কবি, মুক্তিযোদ্ধা থেকে মুষ্টিযোদ্ধা—বহু অনন্য ব্যক্তিত্বকে। তাঁদের জীবন, কর্ম ও উত্তরাধিকার আজও অনুপ্রেরণা দেয়।
নবনীতা দেবসেন (১৯৩৮ – ২০১৯)
কবি, লেখিকা, শিক্ষাবিদ—এক অনন্য বাঙালি নারীপ্রতিভা। তাঁর লেখায় মিশেছে ব্যঙ্গ, প্রেম, মানবতা ও নারীমুক্তির দর্শন। ‘মিতিন মাশী’ থেকে ‘একটি নদীর নাম প্রেম’—সবই আজও পাঠকের মর্মে জীবন্ত। সাহিত্য-সংস্কৃতির এই প্রজন্মনেত্রীর প্রয়াণ বাংলা সাহিত্যকে করেছে আরও দরিদ্র।
বাহাদুর শাহ জাফর (১৭৭৫ – ১৮৬২)
মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর দিল্লির শেষ কণ্ঠস্বর ছিলেন, যিনি ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে প্রতীকী নেতৃত্ব দেন। নির্বাসনে মৃত্যু হয় রেঙ্গুনে (বর্তমান ইয়াঙ্গুন, মিয়ানমার)। তাঁর লেখা উর্দু গজল আজও ইতিহাসের কান্নার প্রতিধ্বনি—“কিতনা বদনসীব হ্যায় জফর দাফন কে লিয়ে, দুই গজ জমিন না মিলি কূ-এ-ইয়ার মে।”
অশ্বিনীকুমার দত্ত (১৮৫৬ – ১৯২৩)
বাঙালি রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও লেখক। বরিশালের সন্তান এই জননেতা স্বদেশি আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে ওঠেন। তিনি শিক্ষা, নারীজাগরণ ও স্বনির্ভরতার অগ্রদূত ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে তাঁর নৈতিক অবস্থান ও সাংগঠনিক দক্ষতা তাকে বাঙালির চেতনায় অমর করে রেখেছে।
খালেদ মোশাররফ (১৯৩৭ – ১৯৭৫)
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর সেনানায়ক ও পরবর্তী সময়ে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক। ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পালাবদলের দিনে তিনি নিহত হন। স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল।
এ. টি. এম. হায়দার (১৯৩৮ – ১৯৭৫)
বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার। খালেদ মোশাররফের সঙ্গে একই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। যুদ্ধকালীন অসীম সাহসিকতা ও দেশপ্রেম তাঁকে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থায়ী আসন দিয়েছে।
জো ফ্রেজিয়ার (১৯৪৪ – ২০১১)
বিশ্ববিখ্যাত হেভিওয়েট বক্সার ও মোহাম্মদ আলীর প্রতিদ্বন্দ্বী। তাঁর “ফাইট অব দ্য সেঞ্চুরি” ম্যাচ ক্রীড়াজগতে কিংবদন্তি হয়ে আছে। মৃত্যুর পরও ফ্রেজিয়ার নাম উচ্চারণে ভেসে ওঠে দৃঢ়তা, সহনশীলতা আর ক্রীড়া-স্পিরিটের প্রতীক।
এলেন ডগলাস (১৯২১ – ২০১২)
আমেরিকান ঔপন্যাসিক, যিনি দক্ষিণী সমাজ ও নারীর অন্তর্দ্বন্দ্বের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছেন। তাঁর “Can’t Quit You, Baby” উপন্যাস মার্কিন সাহিত্যজগতে আজও আলোচিত।
রন ডেল্ও (১৯৩২ – ২০১৩)
ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার। মাঠে যেমন দক্ষতা, তেমনি প্রশিক্ষক হিসেবে তরুণ প্রজন্ম গড়ার ক্ষেত্রেও ছিলেন অবিস্মরণীয়।
নবনীতা দেবসেন (১৯৩৮ – ২০১৯)
কবি, লেখিকা, শিক্ষাবিদ—এক অনন্য বাঙালি নারীপ্রতিভা। তাঁর লেখায় মিশেছে ব্যঙ্গ, প্রেম, মানবতা ও নারীমুক্তির দর্শন। ‘মিতিন মাশী’ থেকে ‘একটি নদীর নাম প্রেম’—সবই আজও পাঠকের মর্মে জীবন্ত। সাহিত্য-সংস্কৃতির এই প্রজন্মনেত্রীর প্রয়াণ বাংলা সাহিত্যকে করেছে আরও দরিদ্র।
