আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস
পবিত্র রমজান শুরু হতে পারে ১৯ ফেব্রুয়ারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:৩২, ৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৪৩, ৪ অক্টোবর ২০২৫

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ২০২৬ সালের পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে ১৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানিয়েছেন, চাঁদের গতিপথ ও সূর্যাস্তের সময় নির্ণয়ের ভিত্তিতে এই সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আল জারওয়ানের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, নতুন চাঁদ উঠবে ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টা ১ মিনিটে (আবুধাবি সময়)। কিন্তু সেই দিন সূর্যাস্তের মাত্র এক মিনিট পরই চাঁদ অস্ত যাবে—ফলে সেদিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা সম্ভব হবে না। তাই আনুষ্ঠানিক চাঁদ দেখা কমিটির নিশ্চয়তার পর রমজানের প্রথম দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
সংস্থার তথ্য অনুসারে, আবুধাবিতে রমজানের শুরুতে রোজার দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১২ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট, যা মাস শেষে ধীরে ধীরে বেড়ে ১৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে পৌঁছাবে। দিনের আলো শুরুর দিকে ১১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট থাকবে এবং শেষে তা বাড়বে প্রায় ১২ ঘণ্টা ১২ মিনিট পর্যন্ত।
আল জারওয়ান আরও বলেন, রমজান মাসের শুরুতে তাপমাত্রা থাকবে ১৬ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে, যা উত্তরের শীতকালীন বাতাসে প্রভাবিত হবে। তবে মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ১৯ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ওই সময় বসন্তকালীন আবহাওয়া ও পশ্চিমা বাতাস শুরু হয় বলে জানান তিনি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে, যার পরিমাণ গড়ে ১৫ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে—যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মৌসুমি গড় আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার মূলত চন্দ্রচক্রভিত্তিক। প্রতিটি মাস শুরু হয় নতুন অর্ধচন্দ্র দেখা যাওয়ার পর থেকে। তাই প্রতিটি দেশের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ও চাঁদ দেখা কমিটি নিজেদের আকাশ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে রমজানের শুরু ঘোষণা করে থাকে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পৃথিবীর ভৌগোলিক অবস্থান ও আকাশের স্বচ্ছতার ওপর নির্ভর করে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে কিছু দেশে (যেমন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলগুলোতে) রমজান একদিন পরেও শুরু হতে পারে।
সূত্র: গালফ নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটি