মেয়েদের যেসব গুণ দেখে বিয়ে করতে বলেছেন নবীজি
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:১৫, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

বিয়ে মানুষের জীবনে পূর্ণতা আনে। বিয়ের মাধ্যমে দুজন নর-নারীর মধ্যে ভালোবাসা, দায়িত্ব ও সম্মানবোধের বন্ধন গড়ে ওঠে। ইসলাম এই বন্ধনকে ইবাদতের মর্যাদা দিয়েছে। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তার নিদর্শনাবলির মধ্যে এটি অন্যতম যে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া স্থাপন করেছেন।’ (সুরা রুম ২১) এই আয়াতেই বিয়ের প্রকৃত তাৎপর্য প্রকাশ পেয়েছে তথা শান্তি, দয়া ও পরস্পরকে সম্পূর্ণ করার এক পবিত্র পথ।
নবী করিম (সা.) বিয়ে সম্পর্কে তার উম্মতকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি যেমন দ্রুত বিবাহের পরামর্শ দিয়েছেন, তেমনি উপযুক্ত জীবনসঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড স্থির করে দিয়েছেন। কারণ বিয়ে শুধু শারীরিক নয়, বরং মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পর্কেরও বিষয়। সঠিক জীবনসঙ্গী নির্বাচন না হলে সেই সম্পর্ক হয়ে পড়ে অনিশ্চিত, কলহপূর্ণ ও অশান্তিময়।
বর্তমান সমাজে অনেকেই পাত্রীর ক্ষেত্রে বাহ্যিক সৌন্দর্য বা আর্থিক সমৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু নবীজি (সা.) এসবের চেয়ে দ্বীনদারীকে প্রধান্য দিতে বলেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘চারটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা হয়। তার সম্পদ, তার বংশমর্যাদা, তার সৌন্দর্য ও তার দ্বীনদারী। সুতরাং তুমি দ্বীনদারীকেই প্রাধান্য দেবে। অন্যথায় তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি)
অপর হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যখন কেউ তোমাদের কাছে বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়, আর সে যদি দ্বীনদার ও সচ্চরিত্র হয়, তাহলে তার সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন করো। যদি তা না করো, তবে সমাজে ফেতনা ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
একজন সচ্চরিত্র ও দ্বীনদার স্ত্রী স্বামীর দ্বীন ও দুনিয়ার পথচলায় সহযোগী। এমন স্ত্রী পরিবারকে স্বর্গীয় প্রশান্তি দেয় এবং সন্তানদের নৈতিক পথে পরিচালিত করে।