নতুন চ্যানেল অনুমোদনের কারণ জানালেন তথ্য উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:০০, ৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৪:২৩, ৯ অক্টোবর ২০২৫

সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নকে সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক পক্ষপাত দূর করে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী কণ্ঠস্বরকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যেই নতুন মিডিয়া চ্যানেল অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা জানান, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এখন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়, যা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য রয়েছে। তিনি বলেন,“সবার মতামতের ভিত্তিতে গণমাধ্যম কমিশন ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করতে চাই। নির্বাচন সামনে রেখে সাংবাদিকদের সুরক্ষা এখন জরুরি।”
মিডিয়া মালিকদের উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন,“মিডিয়া মালিকরা কর রেয়াতসহ যেসব সুবিধা সরকার থেকে পাবেন, সেভাবে যেন কর্মীদেরও সুবিধা দেন।”তিনি আশ্বস্ত করেন, “সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করবে না।”
চ্যানেল অনুমোদনের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা জানান,“গত ১৫ বছরে টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদনে রাজনৈতিক পক্ষপাত ছিল। নতুন সরকার সেই পক্ষপাত দূর করছে। এখন নীতি হলো—কোনো মিডিয়া বন্ধ করা হবে না।”
তিনি বলেন,“আমরা চাই বহু স্বর আসুক। যেহেতু আমি কোনো মিডিয়া বন্ধ করব না, তাই ফ্যাসিবাদ-বিরোধী কণ্ঠগুলোও মিডিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন,“যদি নতুন আইন প্রণয়ন করে অনুমোদন দিতে পারতাম, তা হলে আমার জন্য আরও সুখকর হতো।”
মাহফুজ আলম আরও বলেন, সরকার মিডিয়া শিল্পে একটি ভালো পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, যাতে সংবাদমাধ্যম স্ব-নিয়ন্ত্রণে (Self Regulation) পরিচালিত হয়।“আমরা চাই একটি ভালো পরিবেশ তৈরি হোক। মন্ত্রণালয় এখানে হস্তক্ষেপ করবে না।”
তিনি জানান, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত কন্টেন্টগুলোকেও একটি নীতিমালার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ভবিষ্যতে আরও চ্যানেল অনুমোদনের বিষয়ে নিশ্চিত কিছু না জানালেও তথ্য উপদেষ্টা বলেন,“সবাই নিউজ চ্যানেল চায়। আমি বলছি ডাইভার্স সেগমেন্টে আবেদন করতে—যেমন: স্পোর্টস, শিশুতোষ বা শিক্ষামূলক চ্যানেল।”