সৈনিক লীগ নেতা থেকে মুরগির ফার্মের মালিকও টিভি লাইসেন্স পেয়েছিল: উপ-প্রেস সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৫, ৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৫, ৮ অক্টোবর ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, অতীতে টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স বণ্টনে রাজনৈতিক প্রভাব ও অনিয়ম ছিল। সৈনিক লীগের সভাপতি থেকে শুরু করে মুরগির ফার্মের মালিক—বিভিন্ন রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও টিভি চ্যানেলের মালিকানা পেয়েছিলেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন, “নতুন দুটি টিভি চ্যানেলকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে গতকাল প্রথম আলো একটি ভালো রিপোর্ট করেছে। আমার কাছে ভালো লেগেছে কারণ এখন আমরা চাইলে এই রিপোর্টকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারি।”
তিনি বলেন, “টিভি লাইসেন্স কারা পায়, সেটা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। এই রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, দেশে এখন পর্যন্ত ৫০টি টিভি চ্যানেল লাইসেন্স পেয়েছে, যার মধ্যে ৩৬টি বর্তমানে সম্প্রচারে আছে।”
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, “এই ৩৬টি চ্যানেলের মালিক কারা, তা নিয়ে অনেকেরই ধারণা আছে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে এই মালিকদের নাম উল্লেখ করেছে। সৈনিক লীগের সভাপতি থেকে মুরগির ফার্মের মালিক—অনেকেই রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে টিভি লাইসেন্স পেয়েছে। সরকারি দলের সাংসদ, তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের কথাও বাদ যায় না।”
তিনি বলেন, “অতীতে মিডিয়াগুলো এসব নিয়ে কিছুই বলেনি—হয় তাদের সদিচ্ছা ছিল না, নয়তো স্বাধীনতা ছিল না। এখন তারা করতে পারছে, কারণ গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে রিপোর্ট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।”
পোস্টের শেষাংশে আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন, “আমরা আশা করবো, গণমাধ্যম এখন শুধু বর্তমান নয়, অতীতের অনিয়ম নিয়েও রিপোর্ট করবে। সংবাদমাধ্যমের এই স্বাধীনতা আমাদের সমাজের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।”
সম্প্রতি সরকার নতুন দুটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সম্প্রচারের অনুমোদন দিয়েছে। এই ঘোষণার পর থেকেই টেলিভিশন লাইসেন্স বিতরণে স্বচ্ছতা ও প্রভাবের প্রশ্নে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।
অনেকে মনে করছেন, উপ-প্রেস সচিবের এই বক্তব্য দেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থায় অতীতের রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যতের স্বচ্ছতা—দুই দিকই সামনে এনেছে।