‘রক্তকরবী’র আত্মপ্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২২, ১০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০২:৩৫, ১০ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে সংস্কৃতি, সাহিত্য, সংগীত, নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও শিল্পকলার বিকাশে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা করলো ‘রক্তকরবী’। এটি একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিল্পচর্চার সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান।
১ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বাংলামটরের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয়।
স্বাধীনতা ও মানবতার অমলিন প্রতীক কবি শামসুর রহমানকে নিবেদন করে আয়োজন করা হয়েছিল আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম (কবি শহিদ আজাদ) বলেন, “সাংস্কৃতিক সংগঠন হলো জাতির চেতনার কারখানা, যেখানে তৈরি হয় মুক্তচিন্তা, মানবিকতা ও সভ্যতার নতুন বীজ—যা একসময় সাংস্কৃতিক বিপ্লবে রূপ নেয়। বিশ্বাসকরি 'রক্তকরবী' নামক এই গুটিপোকাটি একদিন আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনায় প্রজাপতি হয়ে উড়বে।”
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তাহেরা আফরোজ বলেন, “শুধু শিল্পচর্চার সংগঠন নয় ‘রক্তকরবী’—এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন। সংগঠনটি তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্য, নাটক, সংগীত, আবৃত্তি ও চিত্রকলার মাধ্যমে সৃজনশীল, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে।”
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ‘রক্তকরবী’র মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও চর্চা৷ জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন। মাদক, সন্ত্রাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আন্দোলন। সামাজিক সচেতনতা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করা। সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও প্রদর্শনীর আয়োজন। সংগঠনের সদস্যপদ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী বাংলাদেশিদের জন্য, যারা রক্তকরবীর লক্ষ্য ও নীতিতে বিশ্বাসী।
অনুষ্ঠানে সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী আখতার বলেন, “শিল্পই সমাজ পরিবর্তনের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। তাই কেবল শিল্পচর্চা নয়, বরং সাংস্কৃতিক চেতনার মাধ্যমে একটি মানবিক, সৃজনশীল ও দায়িত্বশীল সমাজ গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গীকার।”
