রাখাইনে আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫:৩৭, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
মিয়ানমারের রাখাইনে নির্বাচন সামনে রেখে আবারও জ্বলে উঠেছে সংঘাত। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের রাখাইনে নির্বাচন সামনে রেখে আবারও জ্বলে উঠেছে সংঘাত। কিয়াওকফিউ শহরে আরাকান আর্মির (এএ) আকস্মিক হামলায় অন্তত ৩০ জান্তা সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রগুলো হতাহতের সংখ্যা এর চেয়েও বেশি বলে জানাচ্ছে। সংঘর্ষ এখনো থেমে নেই; ড্রোন হামলা, বিমান আক্রমণ ও স্থলযুদ্ধ সমানতালে চলছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জান্তা সেনারা গ্রামে প্রবেশ করার আগেই আরাকান আর্মি সেখানে মাইন পেতে রাখে। নিজেদের নিরাপদ ভেবে এগোতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর এএ সদস্যরা কাছাকাছি অবস্থান থেকে গুলি ছুড়ে সেনাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রাখাইনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন যুদ্ধক্ষেত্র। ভোররাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবিরত গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত স্থানীয়রা পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
স্বেচ্ছাসেবীরা বলছেন—খাদ্যের চরম সংকট,চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব,আহতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই এবং নারী, শিশু ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষ সবচেয়ে বিপদে।
তারা বলছেন, জান্তাবাহিনী বহু গ্রাম বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে; তেল, ওষুধ ও জরুরি সরঞ্জাম ঢুকতে দিচ্ছে না। এতে মানবিক বিপর্যয় ঘনীভূত হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রুজ গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন—“জান্তা বাহিনী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও অক্ষম মানুষের ওপর ভয়ংকর নির্যাতন চালাচ্ছে। অনেকে নিজেদের ঘরে আগুনে পুড়ে মারা গেছে। যারা বেঁচে আছে, তারাও মারাত্মক ঝুঁকিতে।”
এদিকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের নিয়ে কাজ করা স্থানীয় সংগঠনগুলো সীমিত অর্থায়নের কারণে পর্যাপ্ত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
সংঘাত যখন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে, ঠিক তখনই ওয়াশিংটন থেকে এসেছে নতুন ঘোষণা।যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন জান্তা বাহিনী ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে সহায়তার জন্য যেসব পদক্ষেপ বিবেচনা করছে—আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম,ড্রোন জ্যামার,মানবিক করিডোর স্থাপন,আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানো।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য—সংঘাত থামানো, নাগরিকদের জীবন রক্ষা করা এবং চীনের প্রভাব কমিয়ে আনা।
