রোহিঙ্গাদের স্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করে দেবে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:১৩, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। গ্রাফিক্স : সমাজকাল
রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করে দেবে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশ্বব্যাংক ও সরকারের আর্থিক সহায়তায় এসব স্থাপনা নির্মিত হবে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
‘হোস্ট অ্যান্ড এফডিএমএন এনহ্যান্সমেন্ট অব লাইভস থ্রু ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (হেল্প)’ শীর্ষক প্রকল্পটির আওতায় হেল্প/ইউএন-১ প্যাকেজের আওতায় কক্সবাজার জেলার দুর্যোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং এফডিএমএন (FDMN) ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রবেশাধিকার এবং নিরাপত্তা উন্নত করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৩৬৩ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আমাদের দেশে আশ্রিত জনগোষ্ঠীটির মানুষদের জন্য কিছু স্থাপনা গড়তে অনুদানের টাকা আছে। ওখান থেকে আমরা এটা করব’।
তিনি বলেন, ‘জোরপূর্বক স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদেরকে যথা শিগগিরই আমরা তাদের দেশে ফেরত পাঠাবো। কিন্তু যে সময়টা তারা আছেন, মানবেতর জীবন যাপন করা তো কারো কাম্য নয়। এটার জন্য স্থায়ী অবকাঠামো দেওয়া হচ্ছে’।
বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য দুটি প্রস্তাবেরও নীতিগত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সেগুলো হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে যথাসময়ে ঝুঁকিবিহীনভাবে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে তিন লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানির লক্ষ্যে পিপিআর ২০২৫ এর বিধি ১০২(১)(ক) অনুসারে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে তিন লাখ মেট্রিক টন গম ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর ৬৮(১) ও পিপিআর, ২০২৫ এর বিধি ৯৯(২) অনুসারে জিটুজি ভিত্তিতে আরও গম ক্রয়।
