গায়কের অনুপস্থিতিতেও থামেনি আয়োজন গুয়াহাটিতে
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮:৫৩, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
জ়ুবিনগার্গ-এর মৃত্যুর পর তার পত্নী গরিমা শঈকীয়া। ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
মাত্র দুই মাস আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অসমের অরণ্য-সঙ্গীতের কিংবদন্তি জ়ুবিন গার্গ। তাঁর মৃত্যু ঘিরে এখনও চলছে বিতর্ক, চলছে তদন্ত, চলছে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। অসমজুড়ে হাজারো অনুরাগী আজও বিশ্বাস করতে পারেন না, তাঁদের জ়ুবিন আর নেই। তবুও — গায়কের ৫৪তম জন্মদিনে থামেনি শ্রদ্ধার আয়োজন। বরং, অনুপস্থিত জ়ুবিনের অসমাপ্ত শূন্যতাকে পূরণ করে দিয়েছে তাঁর কোটি ভক্ত।
জ়ুবিনের গুয়াহাটির বাসভবনের সামনে সোমবার রাত থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন অনুরাগীরা। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ হাতে নিয়ে আসেন বড় বড় চকোলেট কেক, ফুল ও পোস্টার। ঠিক মধ্যরাতে গায়কের ছবির সামনে কেক কেটে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভক্তরা। পথচারীদের মধ্যেও কেক বিতরণ করা হয়।
শুধু ভক্তরাই নয়, জ়ুবিনের বাড়িতেও ছিল বিশেষ আয়োজন। গায়কের বাড়ির লোহার প্রধান দরজাটি সাজানো হয় নীল–সাদা বেলুনে। টেনে দেওয়া হয় লাল গালিচা। যেন প্রিয় তারাকেই স্বাগত জানানো হচ্ছে আবারও।
এই আয়োজনে নিজ হাতে নেতৃত্ব দেন জ়ুবিন-পত্নী গরিমা শঈকীয়া। ভক্তদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এই জন্মদিন থেকে আগামী প্রতিটি জন্মদিনে আমরা নিজেদের নতুন গল্প শুরু করব। যেখানে থেকো, ভালো থেকো।’
গায়কের জন্মদিন উপলক্ষে শুধু বাড়ির সামনে নয়, সর্বত্রই আয়োজন ছিল নজরকাড়ার মতো। কোথাও হয়েছে রক্তদান শিবির,কোথাও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আয়োজন করেছে স্মরণসভা এবং কোথাও তাঁর গানের তালে পথসঙ্গীত পরিবেশন করেছে তরুণ শিল্পীর জন্মদিন যেন পরিণত হয়েছে অসমের সাংস্কৃতিক উৎসবে। জ়ুবিনের মৃত্যুকে ঘিরে অনুরাগীদের প্রশ্ন এখনও শেষ হয়নি।অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘জ়ুবিনকে হত্যা করা হয়েছে।’
এর পর থেকেই নতুন উদ্যমে পথে নেমেছেন ভক্তরা—দাবি, ‘জ়ুবিনের মৃত্যুর বিচার চাই, অবিলম্বে।’
মৃত্যুর পর মুক্তি পাওয়া জ়ুবিন অভিনীত শেষ ছবি ‘রৈ রৈ বিনালে’ ইতিমধ্যেই অসমের চলচ্চিত্র ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে। ব্যবসার নিরিখে নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে ছবিটি, যেন শেষবারও দর্শকদের ভালোবাসার প্রতিদান দিয়ে গেলেন জ়ুবিন।
