আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না: ড. ইউনূস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না: ড. ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং দলটির নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না।
ডাচ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ভাইস-মিনিস্টার পাস্কালে গ্রোটেনহুইস মঙ্গলবার রাজধানীর রাষ্ট্র অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন।
দুই পক্ষের আলোচনায় কৃষি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি সহযোগিতা, যুব উন্নয়ন এবং তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য “সোশ্যাল বিজনেস ফান্ড” গঠনের সম্ভাবনা গুরুত্ব পায়।
বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রসঙ্গও উঠে আসে। প্রধান উপদেষ্টা পুনর্ব্যক্ত করেন—
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং দলটির নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না।
অধ্যাপক ইউনুস আরও জানান, তিনটি ‘কারচুপিপূর্ণ’ জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত প্রজন্ম এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবে— যা দেশের ইতিহাসে এক বিশেষ মুহূর্ত।
তিনি বলেন, “যুবকরাই এই রূপান্তরের চালিকাশক্তি। যারা রাজপথে দেয়ালচিত্র এঁকে গণঅভ্যুত্থানের স্লোগান তুলেছিল, তারাই এখন ভোটের মাধ্যমে ইতিহাস রচনার সুযোগ পাচ্ছে।”
পাস্কালে গ্রোটেনহুইস বাংলাদেশের নির্বাচন প্রস্তুতির প্রশংসা করে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুগঠিত করেছে, যা প্রশংসনীয়।”
ডাচ উপমন্ত্রী বাংলাদেশের সদ্য সংশোধিত শ্রম আইনকে “বিনিয়োগবান্ধব ও অগ্রগামী” হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই আইন ইউরোপ ও নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগকারীদের আরও আশ্বস্ত করবে।
নতুন সংস্কারকৃত শ্রম আইনটি গতকাল রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আইনে পরিণত হয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে একটি পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিষয়ক সমঝোতা স্মারক শিগগিরই সই করতে চায় নেদারল্যান্ডস। এটি হলে দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারিত হবে।
গ্রোটেনহুইস বলেন,“গত ৫০ বছর বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস ছিল উন্নয়ন সহযোগী। এখন আমরা এই সম্পর্ককে রাজনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমতাভিত্তিক অংশীদারত্বে রূপান্তর করতে চাই।”
তিনি আরও জানান, নেদারল্যান্ডসের যেসব কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে আসছে, তারা এখন সরাসরি বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্বে আগ্রহী।
