এনসিপি ও বাসদ মার্কসবাদীকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯:০১, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবশেষে চুড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ জানান, নতুন এ দুটি দলকে প্রতীক বরাদ্দসহ নিবন্ধন দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
এ বিষয়ক গেজেট প্রকাশের কথাও জানান তিনি।
এবার নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিতে আবেদন আহ্বান করা থেকে চূড়ান্ত করা পর্যন্ত আট মাসের বেশি সময় নিল এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি।
নিবন্ধন পেতে আগ্রহী নতুন দলের কাছ থেকে এ বছরের ১০ মার্চ আবেদন আহ্বান করা হয়। একদফা সময় বাড়ানোর পর ২২ জুনের মধ্যে ১৪৩টি দল আবেদন করে।
নিবন্ধনের শর্ত পূরণে ব্যর্থতায় প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ে ১২১টি দল। বাকি ২২টি দলের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত চালায় ইসির এ সংক্রান্ত কমিটি। ৩০ সেপ্টেম্বর জানানো হয়, দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একটি দলের বিরুদ্ধে ফের আপত্তি উঠে। এরপর পুন: তদন্তে যায় কমিশন।
সবশেষ ৪ নভেম্বর জানানো হয়, তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হবে। এর মধ্যে এনসিপিকে ‘শাপলা কলি’, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) ‘কাঁচি’ এবং বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে ‘হ্যান্ডশ্যাক’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে কারও আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে লিখিত আবেদন করতে বলা হয়। কিন্তু কোন আপত্তি না আসায় অবশেষে দল দুটিকে চুড়ান্তভাবে নিবন্ধন দেওয়া হল।
সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয় ২০০৮ সালে। তখন এ প্রথা চালুর পর এ পর্যন্ত ৫৫টি দলের নিবন্ধন থাকল। এর বাইরে স্থগিত রয়েছে আওয়ামী লীগের, বাতিল রয়েছে ফ্রিডম পার্টি, ঐকবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন।
এ পর্যন্ত যে ৫৫টি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে-
এটিএম শামসুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি নবম সংসদ নির্বাচনের সময় ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেয়।
কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বাধীন ইসি দশম সংসদ নির্বাচনের আগে দুটি দল নিবন্ধন দেয়।
কে এম নূরুল হুদা কমিশন একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় নিবন্ধনযোগ্য কোনো দল পায়নি। তবে আদালতের আদেশে কয়েকটি দল পরে যুক্ত হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়।
এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসি নিবন্ধন দিল দুটি দলকে।
