শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি : ভবিষ্য তহবিল বাধ্যতামূলক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৩০, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গ্রফিক্স: সমাজকাল
সরকার নতুন শ্রম আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে, যা শ্রমিকদের অধিকারের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এখন থেকে কোনো কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে গেলে নির্দিষ্ট শতকরা হারের শর্ত থাকবে না। বরং প্রতিষ্ঠানটির মোট শ্রমিকসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় শ্রমিকদের সম্মতি নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে ন্যূনতম ২০ জনের সম্মতিতেই ইউনিয়ন গঠন করা যাবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ২০–৩০০ জন শ্রমিক থাকলে ২০ জনের, ৩০১–৫০০ জন থাকলে ৪০ জনের, ৫০১–১,৫০০ জন থাকলে ১০০ জনের, ১,৫০১–৩,০০০ জন থাকলে ৩০০ জনের এবং ৩,০০১ জনের বেশি থাকলে ৪০০ জনের সম্মতি লাগবে। এ ছাড়া, একটি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫টি ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে।
এ ছাড়া শ্রমিকদের আন্দোলন ও কর্মসংস্থানের অধিকার রক্ষা করতে অধ্যাদেশে কালো তালিকাভুক্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো শ্রমিক বা ইউনিয়নের সদস্যকে চাকরি হারানোর কারণে তথ্যভান্ডারে অন্তর্ভুক্ত বা নোটিশ জারি করা যাবে না। মালিকপক্ষও কোনো পক্ষপাতমূলক উদ্যোগে বিদ্যমান ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের বরখাস্ত বা অন্য ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করতে পারবে না।
নতুন অধ্যাদেশে ভবিষ্য তহবিল গঠন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ১০০ স্থায়ী শ্রমিক থাকলেই মালিকপক্ষকে তহবিল গঠন করতে হবে। তবে কর্মীরা যদি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নিতে চায়, তাহলে তহবিল গঠনের শর্ত থেকে মুক্তি পাবেন। পেনশন স্কিমে মালিক ও শ্রমিক উভয়ই সমান ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্বে চাঁদা দেবেন। যেসব শ্রমিক স্কিমে অংশ নিতে চায় না, তারা লিখিতভাবে মালিকপক্ষকে জানালে মালিকের অংশের দান বাধ্যতামূলক হবে না।
সরকারের এই পদক্ষেপ শ্রমিকদের সংগঠন, নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিকে একটি বড় ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
