সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ড বিক্রি বন্ধ, যা জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১১, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে গ্রাহকসেবা সীমিত করতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মতিঝিল অফিসে কাউন্টার থেকে সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি বন্ধ করা হবে। একইসঙ্গে গ্রাহক পর্যায়ে ছেঁড়া-ফাটা নোট বদল এবং অটোমেটেড চালান সেবা বন্ধ থাকবে। পরে ধাপে ধাপে ঢাকার বাইরে অন্যান্য অফিসেও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হলেও গ্রাহকদের আস্থা ও সরাসরি সেবার কারণে মূলত মতিঝিল অফিসে ভিড় বেশি। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, দেশের গ্রাহকদের হাতে থাকা ৩ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্রের ৩০ শতাংশের বেশি শুধু মতিঝিল অফিসে আছে।
মূলত গ্রাহকদের সুবিধার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সম্প্রতি মতিঝিল অফিসে সার্ভার জালিয়াতির ঘটনা আলোচনায় আসে। অভিযোগ, এখানে ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র জালিয়াতি করে আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং আরও ৫০ লাখ টাকা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ধরা পড়ে। চারজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, গ্রাহকসেবা সীমিত করার সিদ্ধান্ত জালিয়াতির কারণে নয়, বরং নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নেওয়া হচ্ছে।
মতিঝিল অফিসে বর্তমানে ২৮টি কাউন্টার রয়েছে। নতুন নীতিমালার আওতায় শুধুমাত্র ১২টি কাউন্টার থাকবে, যেগুলো কেবল ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করবে; সাধারণ গ্রাহকদের জন্য লেনদেন বন্ধ থাকবে। বিদ্যমান ৮টি ছেঁড়া-ফাটা নোট বদলের কাউন্টার থেকে ৬টি চালু থাকবে। এছাড়া কয়েন বা ধাতব মুদ্রা লেনদেনের ২টি, ট্রেজারি চালান-সংক্রান্ত ৫টি, প্রাইজবন্ড বিনিময় ২টি, সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও মুনাফা প্রদান ২টি এবং স্মারক মুদ্রা বিক্রয়ের ১টি কাউন্টার চালু থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে গ্রাহকসেবা দিতে পারে সেজন্য তদারকি জোরদার করা হবে এবং শিগগিরই প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহককে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।
