গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকার স্বীকৃতি
মিসরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২:০৮, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মিসরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘অর্ডার অব দ্য নাইল’ প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
লোহিত সাগরের উপকূলীয় শহর শারম আল শেখে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্পের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অংশ নেন। গাজায় সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল–ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ খোঁজা ছিল এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য।
`অর্ডার অব দ্য নাইল’ হলো খাঁটি সোনায় তৈরি এক বিশেষ কলার, যাতে ফারাও যুগের নকশা খোদাই করা থাকে। এটি সমৃদ্ধি, দীর্ঘস্থায়িত্ব ও অশুভ শক্তি থেকে সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগে চালু হওয়া এই সম্মাননা মিসরের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।
এই পুরস্কার এখন পর্যন্ত খুব অল্পসংখ্যক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, জর্ডানের রাজা হুসেইন, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা ও স্পেনের রাজা ফেলিপ ষষ্ঠ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন দ্বিতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি এই সম্মান পেলেন। এর আগে ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পাদনের জন্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারকে ‘অর্ডার অব দ্য নাইল’ প্রদান করা হয়েছিল।
এ ছাড়া মিসরের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আহমেদ জুয়েইল, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ এলবারাদেই, সাহিত্যিক নাগিব মাহফুজ, এবং প্রয়াত প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এই সম্মাননা পেয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই সম্মাননা প্রদান প্রসঙ্গে মিসর সরকার জানায়, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি উদ্যোগে ট্রাম্পের ভূমিকা “ঐতিহাসিক ও কার্যকর” ছিল। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।