আজকের ইতিহাস
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, উদয় শঙ্করসহ ব্যক্তিত্বদের প্রয়াণবার্ষিকী
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:০৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইতিহাসের পাতায় ২৫ সেপ্টেম্বর দিনটি স্মরণীয় নানা কারণে। এই দিনে পৃথিবী হারিয়েছিল এমন কিছু মহামানবকে, যাদের অবদান আজও সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্য ও সমাজে আলো ছড়ায়। বাংলার সঙ্গীত দিগন্তের উজ্জ্বল নক্ষত্র হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও প্রযোজক। বাংলা থেকে হিন্দি সংগীতজগতেও তিনি সমান জনপ্রিয় ছিলেন ‘হেমন্তকুমার’ নামে।
১৮৯৫ সালের এই দিনে পরলোকগমন করেন যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী, যিনি লাহিড়ী মহাশয় নামে অধিক পরিচিত। ক্রিয়া যোগ প্রচারের মাধ্যমে তিনি ভারতীয় আধ্যাত্মিকতাকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার জন্ম ১৮২৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর।
১৯৫৯ সালে প্রয়াত হন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধানমন্ত্রী সলোমন বন্দরনায়েক। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও শ্রীলঙ্কার স্বাধীনোত্তর শাসন ব্যবস্থায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ভারতীয় নৃত্যকলার আঙিনায় আলোড়ন তোলা বিশ্বনন্দিত নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যপরিকল্পক উদয় শঙ্কর প্রয়াত হন ১৯৭৭ সালের এই দিনে। আধুনিক ভারতীয় নৃত্যের নতুন ধারা তিনি বিশ্বকে উপহার দিয়েছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯০০ সালের ৮ ডিসেম্বর।
১৯৮২ সালে প্রয়াত হন প্রখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী নীরদ মজুমদার (জ. ১৯১৬), যিনি রঙ ও রূপের অভিনবতায় বাঙালি শিল্পচর্চায় স্বকীয়তা এনেছিলেন।
১৯৮৯ সালের ১৬ জুন জন্ম নেওয়া বাংলার সঙ্গীত দিগন্তের উজ্জ্বল নক্ষত্র হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও প্রযোজক। বাংলা থেকে হিন্দি সংগীতজগতেও তিনি সমান জনপ্রিয় ছিলেন ‘হেমন্তকুমার’ নামে।
পরের বছর, ১৯৯০ সালে, বিদায় নেন ইতালির খ্যাতনামা ঔপন্যাসিক আলবার্টো মোরাভিয়া, যার সাহিত্যকর্ম বিশ্ব পাঠকসমাজকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।
১৯৯৬ সালে প্রয়াত হন ভারতের প্রযুক্তি ইতিহাসের কিংবদন্তি সমরেন্দ্র কুমার মিত্র (জ. ১৯১৬)। তাঁকে ‘ভারতের কম্পিউটারের জনক’ বলা হয়, কারণ তিনিই প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার নির্মাণ করেছিলেন।
সবশেষে, ২০২২ সালের এই দিনে চলে যান ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কলামিস্ট রণেশ মৈত্র (জ. ৪ অক্টোবর ১৯৩৩)। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি মুক্তচিন্তা ও সামাজিক আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ছিলেন।
ইতিহাসের এ সব ব্যক্তিত্ব তাদের কাজ ও অবদানের মধ্য দিয়ে আজও বেঁচে আছেন। তাদের মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে সমাজকাল।