এআই যুদ্ধেও বিভক্ত বিশ্ব
প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯:২২, ৩ নভেম্বর ২০২৫
						
									গ্লোবাল বিনিয়োগ ব্যাংক জেফারিজ সতর্ক করেছে—এআই-কেন্দ্রিক মূলধনি ব্যয় (ক্যাপএক্স) দ্রুত এমন পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত ডেটা সেন্টার ও সম্পর্কিত অবকাঠামোতে অতিবিনিয়োগের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দৌড়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ‘যদি পিছিয়ে পড়ি’—এই ভয় থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা ঢালছে; কিন্তু সার্বিক বাজারে এখনো কোনো ‘কিলার অ্যাপ’ জন্ম না নেওয়ায় বিনিয়োগের টেকসই রিটার্ন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
জেফারিজের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এআই শিল্প এখন রীতিমতো অস্তিত্ব রক্ষার প্রতিযোগিতায়। শীর্ষ সংস্থাগুলো জেনারেটিভ মডেল ট্রেনিং, ইনফারেন্স-স্কেলিং, নিজস্ব বা কো-লোকেশন ডেটা সেন্টার, পাওয়ার-পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ), এমনকি চিপ সাপ্লাই চেইন সুরক্ষায় একযোগে ব্যয় বাড়াচ্ছে। কিন্তু বাজারে এমন কোনো ব্যাপকভিত্তিক ব্যবহারিক অ্যাপ্লিকেশন এখনো দেখা যায়নি, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এআই-এর “চূড়ান্ত” গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করে—ফলে আয়ের স্থায়িত্ব বনাম ব্যয়ের গতি নিয়ে মেলাতে হচ্ছে বড় অঙ্কের সমীকরণ।
জ্বালানি-বিদ্যুতের খরচ, কুলিং-ইনফ্রা, এবং চিপ-অ্যাক্সেসের মতো মৌলিক উপাদান যেখানে ব্যয়ের প্রধান চালক—সেখানে চীন তুলনামূলকভাবে সস্তা শক্তি ও ওপেন-সোর্স ভিত্তিক উন্নয়নে আগানোয় দ্রুততর প্রয়োগযোগ্যতার সুবিধা পেতে পারে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র উচ্চমানের গবেষণা-উদ্ভাবন, সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম ও ভিসি-পুঁজির গভীরতায় এগিয়ে। এই দ্বৈত বাস্তবতায় “কে জিতবে”—এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর এখনই মেলে না বলেই মনে করে জেফারিজ।
ক্যাপেক্স-সাইকেল রিস্ক: অতিরিক্ত ডেটা সেন্টার নির্মাণ—চাহিদা প্রত্যাশামতো না বাড়লে দীর্ঘমেয়াদে আয়-ক্ষমতা ক্ষয় হতে পারে।
কিলার অ্যাপ অনুপস্থিতি: গণ-গ্রাহক স্তরে ‘মাস্ট হেভ’ অ্যাপ না আসা পর্যন্ত 'আরআইও' অনিশ্চিত।
পাওয়ার-ইকোনমিক্স: বিদ্যুৎ-দাম, গ্রিড-অ্যাক্সেস, কুলিং-খরচ—মোট মালিকানা খরচ (টিসিও) নির্ধারণের কেন্দ্রবিন্দু।
ওপেন-সোর্স বনাম ক্লোজড: চীনের ওপেন-সোর্স-চালিত দ্রুত অভিযোজন বনাম যুক্তরাষ্ট্রের প্রোপ্রায়েটারি আর এন্ড ডি—দুই মডেলের দ্বন্দ্বই বাজারের গতি ঠিক করবে।
