প্লে স্টোরে সর্বোচ্চ রেটিং অর্জন করল বাংলালিংকের ‘মাইবিএল সুপার অ্যাপ’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:৫৫, ৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:০০, ৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলালিংক এর ‘মাই বিএল সুপার অ্যাপ’।
দেশের শীর্ষ স্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক এর ‘মাই বিএল সুপার অ্যাপ’ গুগল প্লে স্টোরে ৪.৭★ রেটিং অর্জন করেছে। এটিই বাংলাদেশের টেলিকম অ্যাপ গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রেটিং।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বাংলালিংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপিএত এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের কোটি গ্রাহক নির্বিঘ্ন সংযোগ, বিনোদন, ডিজিটাল পেমেন্ট, এবং জীবনযাপনভিত্তিক নানা সেবার জন্য এই অ্যাপটির ওপর নির্ভর করেন। এই মাইলফলক অর্জন অ্যাপটির প্রতি তাদের আস্থারই প্রতিফলন।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সাধারণ সেলফ-কেয়ার অ্যাপ হিসেবে যাত্রা শুরু করা মাইবিএল সুপার অ্যাপ এখন একটি পূর্ণাঙ্গ লাইফস্টাইল প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলালিংকের এই সুপার অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা এখন অ্যাকাউন্ট পরিচালনা থেকে শুরু করে চাহিদা অনুযায়ী প্যাকেজ কেনা, পেমেন্ট প্রদান, পছন্দ মত বিনোদন উপভোগ করা, বিশেষ অফার ও সুবিধা গ্রহণ সব কিছুই এই একটিমাত্র সহজ ও ব্যবহারবান্ধব অ্যাপের মাধ্যমেই করতে পারেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলালিংকের এই রূপান্তর অপারেটরটির গ্রাহক কেন্দ্রিক মনোভাবের প্রতিফলন। ব্যবহারকারীর মতামত ও প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে বাংলালিংক প্রতিনিয়ত তাদের অ্যাপের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে এবং সহজ ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।
গ্রাহকের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত ও বেগবান করার লক্ষ্যে সম্প্রতি মাইবিএল অ্যাপে দুটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সেবা চালু করা হয়েছে। এই ‘এআই ভিত্তিক কাস্টমার সাপোর্ট সিস্টেম’ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো সমস্যার সমাধান, অভিযোগ জানানো এবং অভিযোগ অনুসরণের সুবিধা পাচ্ছেন। অন্যদিকে, ‘এআই কাস্টমার কেয়ার চ্যাটবট’ গ্রাহককে যেকোনো সময়ে, যেকোনো জায়গায় ২৪ ঘণ্টা অ্যাকাউন্ট তথ্য, অফার এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান প্রদান করে। গ্রাহকদের বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন, স্বনির্ভর অভিজ্ঞতা দেয়ার যে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য রয়েছে, এই উদ্ভাবনগুলো বাংলালিংকের সেই লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এ অর্জন প্রসঙ্গে বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার (সিডিও) গোলাম কিবরিয়া বলেন, “গুগল প্লে স্টোরে সর্বোচ্চ রেটিং অর্জন আমাদের জন্য শুধু একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, এটি গ্রাহকের ভালোবাসা ও আস্থার প্রতিফলন। গ্রাহকদের চাহিদা, প্রত্যাশা ও অভিজ্ঞতাকেই কেন্দ্র করে আমরা মাইবিএল অ্যাপের প্রতিটি ফিচার তৈরি করি। প্রতিনিয়ত এই উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা চাই, গ্রাহকরা যেন আরও সহজে, দ্রুত এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে ডিজিটাল সেবার সুবিধা নিতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি, প্রকৃত উদ্ভাবন তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনে এবং তাদের প্রয়োজনের সঙ্গে প্রযুক্তিকে যুক্ত করে। মাইবিএল অ্যাপের এই সাফল্য আমাদের সেই বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে।”
বাংলালিংক জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে মাইবিএল অ্যাপে যুক্ত হয়েছে আরও উন্নত ব্যক্তিগতকরণ, উচ্চতর কর্মক্ষমতা এবং ব্যবহারবান্ধব নতুন সব ফিচার। এসব আপডেটের মাধ্যমে অ্যাপটি এখন ব্যবহারকারীদের সার্বক্ষণিক ডিজিটাল সহযোগী হিসেবে আরও নির্ভরযোগ্য ও আকর্ষণীয় রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই মাইলফলক অর্জন বাংলালিংকের গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবন ও যত্নশীলতার ধারাবাহিক যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন, যা বাংলাদেশের টেলিকম খাতে প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
