মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

| ১৯ কার্তিক ১৪৩২

প্রথমবার বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ৮১ নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:২৯, ৪ নভেম্বর ২০২৫

প্রথমবার বিএনপির মনোনয়ন পেলেন ৮১ নেতা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ২৩৭ প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে। ঘোষণার পর থেকেই চূলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে তালিকার। কারা থাকলেন প্রার্থীর তালিকায়, কারা বাদ পড়লেন- এ নিয়ে সরব ভোটের মাঠ। 

তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুরনো অভিজ্ঞ নেতাদের পাশাপাশি এবার বেশ কিছু নতুন মুখকে সুযোগ দিয়েছে বিএনপি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ অতীতের কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হননি, এমন ৮১ জন নতুন নেতার নাম পাওয়া গেছে প্রার্থী তালিকায়। এসব নেতা এবারই প্রথমবারের মতো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামছেন।

তালিকায় আরও দেখা গেছে, ঘোষিত ২৩৭জন প্রার্থীর মধ্যে ১৫১ জন আগেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বাকিরা সবাই নতুন প্রার্থী। এসব নতুন প্রার্থীদের মধ্যে আছেন- সাবেক ছাত্রনেতা, চিকিৎসক, প্রবাসী, আইনজীবী এবং প্রয়াত বিএনপি নেতাদের স্ত্রী-সন্তানসহ তৃণমূল পর্যায়ের সক্রিয় নেতারা।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এর আগে তিন ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তালিকা অনুমোদন হয়।

নতুন প্রার্থীদের মধ্যে যারা রয়েছেন- 

দিনাজপুর-১: মনজুরুল ইসলাম, বিএনপি পরিবার থেকে আসা।

দিনাজপুর-৬: ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ড্যাব নেতা।

নীলফামারী-২: এ এইচ মো. সাইফুল্লাহ রুবেল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও যুবদলের সভাপতি।

নীলফামারী-৪: মো. আব্দুল গফুর সরকার; রাজনৈতিক জেলা বিএনপি সৈয়দপুরের সভাপতি

রংপুর-১: মোকাররম হোসেন সুজন; গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। উপজেলা নির্বাচন করে বহিষ্কার হয়েছিলেন।

রংপুর –৩: মো. সামসুজ্জামান সামু; রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক।

কুড়িগ্রাম-২: সোহেল হোসেন কায়কোবাদ; জেলা বিএনপির সদস্য সচিব।

গাইবান্ধা-১: খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলী। জেলায় বিএনপির নতুন মুখ। কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও চিকিৎসক।

জয়পুরহাট-১: মো. মাসুদ রানা প্রধান, বিএনপির তরুণ ও উদ্যমী নেতা।

জয়পুরহাট-২: আব্দুল বারী, সাবেক সচিব।

বগুড়া-৩: আব্দুল মুহিত তালুকদার, আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি। 

বগুড়া-৬: তারেক রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ছেলে।

নওগাঁ-৩: ফজলে হুদা বাবুল, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। 

নওগাঁ-৪: ডা. ইকরামুল বারী টিপু, মান্দা উপজেলা বিএনপির সদস্য।

নওগাঁ–৬: শেখ মো. রেজাউল ইসলাম রেজু, আত্রাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি। 

রাজশাহী-১: মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সামরিক সচিব।

রাজশাহী-৪: ডিএম জিয়াউর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। 

নাটোর-১: ফারজানা শারমিন পুতুল; সাবেক মন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলের কন্যা

সিরাজগঞ্জ-৩: ভিপি আয়নুল হক, জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক।

পাবনা-৩: মো. হাসান জাফির তুহিন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি।

কুষ্টিয়া-২: রাগীব রউফ চৌধুরী, দুদকের আইনজীবী।

ঝিনাইদহ-৩: মেহেদী হাসান, সাবেক এমপি শহীদুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে।

যশোর-২: সাবিরা সুলতানা মুন্নী, তার স্বামী প্রয়াত নাজমুল ইসলাম যশোর জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

যশোর-৬: কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।

খুলনা-৬: মনিরুল হাসান বাপ্পী, খুলনা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব।

সাতক্ষীরা-২: আব্দুর রউফ, উপজেলা চেয়ারম্যান। 

সাতক্ষীরা-৪: ডা. মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। 

বরগুনা-১: নজরুল ইসলাম মোল্লা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।

ভোলা-১: গোলাম নবী আলমগীর, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।

ভোলা-৪: মো. নুরুল ইসলাম নয়ন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক। 

বরিশাল-৪: রাজীব আহসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক।

পিরোজপুর-২: আহমেদ সোহেল মঞ্জু সুমন, ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি। 

টাঙ্গাইল-১: ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। 

টাঙ্গাইল-৩: এসএম ওবায়দুল হক নাসির, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা। 

টাঙ্গাইল-৪: লুৎফর রহমান মতিন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। 

টাঙ্গাইল-৬: রবিউল আউয়াল লাবলু, উপজেলা বিএনপির সদস্য। 

টাঙ্গাইল-৮: অ্যাড. আহমেদ আজম খান, ভাইস চেয়ারম্যান।

ময়মনসিংহ-১: সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।

ময়মনসিংহ-২: মোতাহের হোসেন তালুকদার, ময়মনসিংহ জেলা উত্তর বিএনপির একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক। 

ময়মনসিংহ-৬: আখতারুল আলম ফারুক, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও শেরে বাংলা একেএম ফজলুল হকের নাতজামাই। 

ময়মনসিংহ-৮: প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি। 

ময়মনসিংহ-৯: ইয়াসের খাঁন চৌধুরী, বিবিসির সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানী এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। 

কিশোরগঞ্জ-২: অ্যাড. মো. জালাল উদ্দিন, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।

মুন্সীগঞ্জ-১: শেখ মো. আবদুল্লাহ, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি। 

ঢাকা-৪: তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব। 

ঢাকা-৬: ইসরাক হোসেন; প্রয়াত ঢাকার মেয়র ও বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।

ঢাকা-১১: এম এ কাইয়ুম

ঢাকা-১৪: সানজিদা ইসলাম তুলি; মায়ের ডাক এর সংগঠনক

ঢাকা-১৫: শফিকুল ইসলাম খান মিল্টন; ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা

ঢাকা-১৬: আমিনুল হক; সাবেক ফুটবলার

গাজীপুর-২: এম মঞ্জুরুল করিম রনি

গাজীপুর-৩: ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু

নারায়ণগঞ্জ-১: মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দীপু

নারায়ণগঞ্জ-৫: মো. মাসুদুজ্জামান

ফরিদপুর-৩: চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ এর কন্যা

ফরিদপুর-৪: শহীদুল ইসলাম বাবুল

গোপালগঞ্জ-২: ডা. কে এম বাবর আলী

মাদারীপুর-১: কামাল জামান মোল্লা

শরীয়তপুর-১: সাইদ আহমেদ আসলাম

সুনামগঞ্জ-১: আনিসুল হক

সুনামগঞ্জ-৩: কয়সর আহমেদ (যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক)

সিলেট-৩: মোহাম্মদ আবদুল মালিক (যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি)

সিলেট-৬: এমরান আহমেদ চৌধুরী

মৌলভীবাজার-২: সওকত হোসেন সকু

হবিগঞ্জ-২: ডা. আবু মনসুর সাখাওয়াত হাসান জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১: এম এ হান্নান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: আব্দুল মান্নান

কুমিল্লা-৫: জসিম উদ্দিন

কুমিল্লা-৮: জাকারিয়া তাহের

কুমিল্লা-৯: আবুল কালাম

কুমিল্লা-১১: কামরুল হুদা

ফেনী-৩: আব্দুল আওয়াল মিন্টু, ব্যবসায়ী নেতা, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান

নোয়াখালী-৫: মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম

নোয়াখালী-৬: মাহবুবের রহমান শামীম

চট্টগ্রাম-২: সরওয়ার আলমগীর

চট্টগ্রাম-৪: কাজী সালাউদ্দিন

চট্টগ্রাম-৫: মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মীর নাসিরের ছেলে

চট্টগ্রাম-৭: হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ড পাওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে

চট্টগ্রাম-৮: এরশাদ উল্লাহ, ব্যবসায়ী নেতা

চট্টগ্রাম-১৬: মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, প্রয়াত বিএনপি নেতা জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে

রাঙামাটি: দীপেন দেওয়ান।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

জেলে থাকা আসামিরাও ভোট দেবেন, জানালেন সিইসি
ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলম হবেন আন্দালিব রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী
প্রথমবার ভোটাধিকার পাচ্ছেন প্রবাসীরা: সিইসি
নতুন রূপে শাহরুখ, প্রকাশ্যে এল ‘কিং’ এর টিজার
জিয়ার সমাধিতে ড্যাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি
রাজনৈতিক দলগুলোই নির্ধারণ করবে গণভোটের সময়
সত্তর বছরে পিতৃত্বের স্বাদ পেলেন কেলসি গ্রামার
বাগদান সারলেন আল্লু সিরিশ
রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান সরকারের
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ৭, আহত দেড় শতাধিক
সুন্দরবনের দুবলার চরে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব
আকর্ষণীয় বেতনে সিনিয়র অফিসার নেবে ওয়ান ব্যাংক
মোহাম্মদপুরে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ড, পুলিশের দাবি গণপিটুনি, স্থানীয়দের ভিন্নমত
যুদ্ধবিরতির পর ১৯৪ বার চুক্তি ভঙ্গ: গাজায় মানবিক বিপর্যয়
ভিয়েতনামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১ আহত ২
ফের পাবনা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা